উত্তর কলকাতার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা ফোনে জানান, তাঁদের বাড়ির শৌচালয়ের পাইপলাইনে বড় একটি গাছের শিকড় জড়িয়ে পড়েছে। এতে পাইপ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই গাছ কাটার অনুরোধ করে আগেও ফোন করেছিলেন তিনি। তখন পুরসভার কর্মীরা এলেও এরপর আর কোনও অগ্রগতি হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
পুরকর্মীদের কাজে গাফিলতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, শুধু পরিদর্শন করলেই দায়িত্ব শেষ হয় না, বাস্তব পদক্ষেপ করতে হবে। সমস্যার সমাধানে দ্রুত ‘অ্যাকশন’ নিতে হবে। ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে এক নাগরিকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফের একবার পুরকর্মীদের নিষ্ক্রিয়তা ও দায় এড়ানোর প্রবণতার বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি।
শুক্রবারের অনুষ্ঠানে উত্তর কলকাতার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা ফোনে জানান, তাঁদের বাড়ির শৌচালয়ের পাইপলাইনে বড় একটি গাছের শিকড় জড়িয়ে পড়েছে। এতে পাইপ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই গাছ কাটার অনুরোধ করে আগেও ফোন করেছিলেন তিনি। তখন পুরসভার কর্মীরা এলেও এরপর আর কোনও অগ্রগতি হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। নাগরিকের এই অভিজ্ঞতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র বলেন, ‘মেট্রোর কাজের সময় হাজার হাজার গাছ কাটা হয়, তখন কারও কিছু বলার থাকে না। অথচ সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়লেও গড়িমসি চলছেই! এটা চলতে পারে না।’
পরে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানের কম্পিউটার সিস্টেমে ওই অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখেন মেয়র। তাতে দেখা যায়, ‘পরিদর্শন হয়েছে’ এই শব্দটি ছাড়া আর কিছুই লেখা নেই। কোনও সমাধান হয়েছে কি না, বা পরবর্তী পদক্ষেপের কথা কোথাও নেই। এতেই আরও অসন্তুষ্ট হন ফিরহাদ। তিনি সাফ নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, শুধু ‘ইন্সপেকশন’ লিখে রাখলে হবে না। কাজ হয়েছে না হয়নি সেটা স্পষ্ট করে লিখতে হবে। মানুষ সমস্যায় পড়ে ফোন করছেন, তাঁদের রিলিফ দিতে হবে। এক দফতর অন্য দফতরের ঘাড়ে দায় ঠেলে দিলে চলবে না। এদিনই তিনি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং দু’এক দিনের মধ্যে সেই সমস্যার সমাধান করতে বলেন। মেয়রের কড়া বার্তায় পরিষ্কার, নাগরিক পরিষেবায় কোনও গড়িমসি বরদাস্ত করা হবে না।