আমরি হাসপাতালের মুকুন্দপুর, ঢাকুরিয়া এবং সল্টলেক শাখায় পুনরায় কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। এই তিনটি শাখায় বর্তমানে ২০ জন কোভিড রোগী ভরতি রয়েছেন। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোভিড রোগী ভরতি রয়েছে আমরির মুকুন্দপুর শাখায়। এই হাসপাতালে ১১ জন কোভিড রোগী ভরতি রয়েছে।
বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চালু হল কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ড। ফাইল ছবি: রয়টার্স
রাজ্যে ফের বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগী ভরতি সংখ্যাও বাড়ছে। চলতি মাসেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে করোনা সংক্রমণের ফলে মৃত্যু হয়েছে দুজন রোগীর। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল পুনরায় কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করেছে। সব মিলিয়ে কলকাতার তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে পুনরায় কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু হয়েছে। কারণ এই সমস্ত হাসপাতালগুলিতে কোভিড রোগী ভরতি সংখ্যা বাড়ছে।
আমরি হাসপাতালের মুকুন্দপুর, ঢাকুরিয়া এবং সল্টলেক শাখায় পুনরায় কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। এই তিনটি শাখায় বর্তমানে ২০ জন কোভিড রোগী ভরতি রয়েছেন। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোভিড রোগী ভরতি রয়েছে আমরির মুকুন্দপুর শাখায়। এই হাসপাতালে ১১ জন কোভিড রোগী ভরতি রয়েছে। এছাড়া ঢাকুরিয়ায় ৫ জন এবং সল্টলেকে ৪ জন কোভিড রোগী ভরতি রয়েছে। এছাড়া, মুকুন্দপুরের আরএন টেগোর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সাইন্সের জরুরী বিভাগে ৫ শয্যার কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি এই হাসপাতালে কোভিড এবং অন্যান্য ভাইরাস পরীক্ষাও শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে ১৩৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যে গত দু সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন। বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ৭৫০ জন সক্রিয় কোভিড রোগী রয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ৬০ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য সরকার। গর্ভবতী মহিলা, শিশু এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।