আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হেনস্থার ঘটনাকে ‘একটু কটূ খারাপ কথা’ বলে উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তিনি বললেন, ‘ ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ থাকতেই পারে’। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি। যাতে বিজেপি ও বামেদের দাবি, প্রচ্ছন্নে হেনস্থাকারীদের মদত দিচ্ছেন মমতা।এদিন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকরা মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ওখানে পুলিশ যা অ্যাকশন নেওয়ার নিয়েছে তো। দেখেছেন তো অ্যারেস্ট হয়ে গেছে। আর বিশ্বভারতী - বোলপুর নিয়ে যা হচ্ছে সেটা নিয়ে কিছু লিখুন। ক’জন অ্যারেস্ট হয়েছে? বিশ্বভারতীর ভিসি অ্যারেস্ট হয়েছে? আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা অংশের পড়ুয়ারা পড়াশুনো করে। তারা সকলেই ভালো। কিন্তু সেখানেও ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ থাকতেই পারে। যে একটু কটূ খারাপ কথা বলেছে তাকে অ্যারেস্ট করেছে পুলিশ। আমাদের এখানে পুলিশ অ্যাকশন নেয়। কিন্তু বিশ্বভারতীতে যা করছেন ভদ্রলোক সেখানে কোনও অ্যাকশন হয়েছে?’মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাম ও বিজেপি। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, অনভিপ্রেত। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে কী ব্যবস্থা নিয়েছে। গিয়াসউদ্দিন আর তৃণমূল সমার্থক। এখন শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের ২ জন প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রী চেয়েছিলেন ওই মন্ত্রীকে যে কোনও উপায়ে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরিয়ে দিতে। কারও অদৃশ্য অঙ্গুলিহেলনে গিয়াসউদ্দিনরা এই কাজ করেছেন। সেখানকার ছাত্ররাই একথা বলছেন।’সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘এই কথার মধ্যে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আসলে অভিযুক্তদের প্রশ্রয় দিলেন। ওনার দফতরে কত দ্রুত গিয়াসউদ্দিনকে কত কাছাকাছি উনি বসাতে পারেন সেই অপেক্ষায় থাকব।’