এবার লালবাজারের পক্ষ থেকে নয়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে বেপরোয়া, হেলমেটহীন মোটরবাইক আরোহীদের শায়েস্তা করতে মাঠে নামছে কলকাতা পুলিশ বলে খবর। এইসব চালককে হাতেনাতে পাকড়াও করে ‘কেস’ দেওয়া এখন অতীত। এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরার সাহায্যে আইন ভঙ্গকারীদের সরাসরি উচিত শিক্ষা দিতে তৎপর হচ্ছে লালবাজার। খালি মাথার চালকের ছবি সেই ক্যামেরায় উঠলেই মোটরবাইকের নম্বর চলে যাবে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে। তারপর দেওয়া হবে কড়া দাওয়াই।
ঠিক কী পদক্ষেপ করছে লালবাজার? লালবাজার সূত্রে খবর, এই অত্যাধুনিক ক্যামেরা লাগানোর জন্য শহরের ১১১টি জায়গা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। বিনা হেলমেটে মোটরবাইক চালানোর প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই মোটরবাইক চালকদের নজরের আড়ালে বসেছে এই বিশেষ ক্যামেরা। তাতে রয়েছে ‘উইদাউট হেলমেট টু হুইলার ডিটেকশন সেন্সর’। ক্যামেরায় ওঠা ছবি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলে যাবে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে। আর তারপরই জরিমানার চালান চলে যাবে মোটরবাইক চালকের মোবাইলে।
কেন এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে? লালবাজার সূত্রে খবর, আগে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ‘ম্যানুয়াল’ পদ্ধতিতে জরিমানা করতেন ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা। তাতে সময় লাগত। গোটা শহর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় চলে আসায় কন্ট্রোল রুম থেকেও কাজ সহজ হয় ট্রাফিক বিভাগের। কন্ট্রোল রুমে ফুটেজ দেখে প্রথমে হেলমেটবিহীন চালককে চিহ্নিত করা হয়। তারপর মোটরবাইকের নম্বর প্লেট দেখে কম্পিউটার সার্ভারের সাহায্যে জরিমানা করা যায়। তবে সেটাও সময়সাপেক্ষ কাজ। তাই ট্রাফিক ক্যামেরায় নতুন ধরনের সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে। তাতে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আগের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যায় বেপরোয়া চালককে জরিমানা করা যাবে। তবে ‘ম্যানুয়াল’ পদ্ধতিও থাকছে আগের মতোই।