ডিওয়াইএফআইয়ের ব্রিগেডে ঠিক কতজন এসেছিলেন তা নিয়ে দিনভর চর্চা। যাঁরা যাননি তাঁরা টিভির পর্দায় কালো মাথার ভিড় দেখে হতবাক। এত মানুষ এলেন কীসের টানে? সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঘুরছে সেই ভিড়ের ছবি। এমনকী শাসকদলের লোকজনও সেই ভিড়ের ছবি দেখে হতবাক।
তবে সেই ভিড়ের ছবি পোস্ট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তিনি সেই ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন, এই গোটা ছবিটায় সব মিলিয়ে ২৭,৬৮০জন আছেন। এটা ক্রপ করা। পাশে বহু ফাঁকাও আছে। তাও বিপরীতে মঞ্চ, ছোট মাঠ। তার মধ্য়ে ২০২১-এও ব্রিগেডে এসেছিলেন অনেকে। যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। ফলে ছবি পোস্টের বিপ্লব না করে ভোট কতটা ফিরবে সেটা দেখুক কমরেডরা। এসইউসির সভা এর থেকে বড় হয়েছিল। লিখেছেন কুণাল।
তবে কুণালের এই ছবি পোস্ট করার পরেই নানা মন্তব্য ভেসে আসছে নেটপাড়ায়। একজন লিখেছেন, ২৭,৬৮০জন আছেন এটা বুঝলাম। কিন্তু সেই সংখ্য়াটা গুনল কে?
অপর একজন লিখেছেন, আপনি কি এই সংখ্য়াটা ওখানে গিয়ে গুনে এসেছেন। একজন আবার বোরোলীনের ছবিও দেখিয়েছেন কুণালকে।
অপর একজন লিখেছেন, আমার মাথায় কত চুল আছে একটু গুনে দেবেন?
কার্যত কুণালের এই পোস্টের পরেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে বামেরা। একের পর এক মন্তব্য করে কার্যত তৃণমূলের মুখপাত্রকে নানাভাবে কটাক্ষ করা হচ্ছে।
তবে বাম নেত্রী মীনাক্ষী বলছেন,'লড়াইয়ের ডাক একদিনের মাঠ, একদিনের কয়েক ঘণ্টা ঠিক করে না। লড়াইয়ের ডাক ভিতর থেকে অনুভব করতে হয়।'
একেবারে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল এদিনের ব্রিগেড। সেই ভিড় কার্যত জানান দিল ক্ষমতায় না থাকলেও এখনও লোকজন কিছু কম হয়না বামেদের ডাকে। ৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রার শেষে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই একটি হিসাব দিয়েছিল। এপর্যন্ত তাদের ২৯১০ কি.মির যাত্রায় ১২ লাখ মানুষ শামিল হন বলে দাবি করে দল। তবে রবিবারের ব্রিগেডে কতটা ভিড় হয়েছে, তার খতিয়ান নিয়ে বিপুল চর্চা বাংলার বহু মহলে।
তবে ইনকিলাব জিন্দাবাদ নয়, সভা শেষ হল সংবিধানের প্রস্তাবনা দিয়ে। পাঠ করলেন মীনাক্ষী। একেবারে অন্য ঘরানার ব্রিগেড দেখল বাংলা।