এখন শহরজুড়ে মেট্রো সম্প্রসারণ হয়েছে। আরও কিছু কাজ এগোচ্ছে। সুতরাং সমস্ত কাজ শেষ হলে গোটা শহর ঘিরে ফেলবে মেট্রো। যা জনগণের কাছে আরামদায়ক লাইফলাইন। এই আবহে চারটি মেট্রো স্টেশনের নামবদল করার প্রস্তাব উঠেছে। সেই প্রস্তাব জমা পড়েছে নবান্নে। জোকা–ধর্মতলা, নোয়াপাড়া বিমানবন্দর, নিউ গড়িয়া–বিমানবন্দর এবং ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর একাধিক স্টেশনের মধ্যে যে কোনও একটির নামবদল করার প্রস্তাব জমা পড়েছে। সেগুলি বাস্তবায়িত হবে কিনা সেটা এখনও জানা যায়নি। সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট থেকে এই তথ্য জানা গিয়েছে। যা নিয়ে চর্চা চলছে।
মেট্রো স্টেশনগুলির নাম বদল নিয়ে একাধিক নামও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, খিদিরপুর মেট্রো স্টেশনের নাম সেন্ট থমাস স্কুল খিদিরপুর অথবা খিদিরপুর সেন্ট থমাস স্কুল করার প্রস্তাব এসেছে সেন্ট থমাস স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে। ভিআইপি রোড/তেঘরিয়া স্টেশনের নাম হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুর স্টেশন রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব এসেছে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ থেকে। তার সঙ্গ দিয়েছে শ্রীধাম ঠাকুরনগর, ঠাকুরবাড়ি এবং তেঘরিয়ার রেবতী রঞ্জন রায়। কিশোর কুমার ফ্যান ক্লাব হাওড়া ময়দান, এসপ্ল্যানেড, শিয়ালদা, মহাকরণের মধ্যে যে কোনও একটি স্টেশনের নাম অমরশিল্পী কিশোর কুমারের নামে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্টে এই তথ্যই রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের মৌসুনি দ্বীপের বেহাল অবস্থা, মাটির বাঁধে বিরাট ভাঙন, ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের
একইসঙ্গে ‘জয়হিন্দ’ স্টেশনের নাম জয়হিন্দ বিমানবন্দর রাখার প্রস্তাব এসেছে মেট্রোর চিফ অপারেশন ম্যানেজারের পক্ষ থেকে। দুটি মেট্রো রুট সংযোগ করবে এটি। এক, নোয়াপড়া চলে যাবে। দুই, কবি সুভাষ বা নিউ গড়িয়া। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে মেট্রো পরিষেবা মিলবে। তাই সকলের সুবিধার জন্য এই স্টেশনের নাম জয়হিন্দ বিমানবন্দর রাখার প্রস্তাব এসেছে। মাটির নিচে এটি এশিয়ার বৃহত্তম আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো স্টেশন। বিমানযাত্রীদের কাছে লাগেজ মেট্রোর প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত টেনে আনার সুবিধা থাকছে এখানে বলে সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই নামবদলের প্রস্তাব নবান্নে জমা পড়লেও তা বাস্তবায়িত হবে কিনা সেটা চূড়ান্ত হয়নি। মানুষের আবেগ থাকতেই পারে। বহু স্টেশনের নামকরণ এমন আছেও। যেমন, মাস্টারদা সূর্যসেন, নেতাজি ভবন, শহিদ ক্ষুদিরাম–সহ নানা নাম আছে। তাহলে এই প্রস্তাব কেন মানা হবে না? উঠছে প্রশ্ন। সুতরাং চার মেট্রো স্টেশনের নামবদল এখন প্রস্তাবের স্তরে আছে। উল্লেখ্য, মেট্রো স্টেশনের এই নামবদলের বিষয় রাজ্য সরকারই দেখে। তাই তা পরিবহণ দফতরের কাছে জমা পড়েছে। সেটা যাবে অর্থ দফতরে। সব শেষে রাজ্যের সম্মতি মিললে সেটা ফেরত চলে আসবে রেলের কাছে। তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্য নেবে রেলমন্ত্রক।