করোনাভাইরাস সংক্রমণে লাগাম দিতে সোমবার বিকেল থেকে রাজ্যে লকডাউন জারি হয়েছে। তা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা ভেঙে শুধুমাত্র কলকাতাতেই গ্রেফতার হলেন ২৫৫ জন।রাজ্য প্রশাসনের তরফে বার বার আবেদন জানালেও Covid-19 সংক্রমণের ভয়াবহতা এবং তা রোধ করতে প্রয়োজনীয় নিষেধাজ্ঞা পালনের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ অনেকেই। পূর্বঘোষিত সন্ধ্যা ৫টা থেকে শহরে লকডাউন জারি করা সত্ত্বেও রাস্তায় ঘোরাঘুরি ও প্রকাশ্যে জমায়েত করার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে রাতে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।গতকাল দুপুরে করোনা আক্রান্ত প্রথম মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার আগেই রাজ্যে ৫ দিনের লকআউট ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতে কান না দিয়ে বিকেল পাঁচটায় লকডাউন শুরু হওয়ার পরেও শহরের রাস্তায় যথেষ্ট জন সমাগম দেখা গিয়েছে।সোমবারই রাজ্যে করোনা হামলায় প্রথম মৃত্যু ঘটেছে কলকাতায়। সংক্রমণের শিকার হয়েছেন দমদমবাসী বছর সাতান্নর প্রৌঢ়। রাতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিমতলা ঘাট শ্মশানে তাঁর দেহ সৎকার করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের রোষের মুখে পড়ে প্রশাসন। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। অনেক পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে দেহ সৎকার করা সম্ভব হয়।লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জেরে গতকাল রাত পর্যন্ত শহরে নিষেধাজ্ঞা ভাঙার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ২৫৫ জনকে, টুইট করেছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।এ ছাড়া রাজ্যের অন্যান্য শহরেও আইন ভেঙে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক।রবিবার রাজ্য সরকারি নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছিল, ২২ মার্চ বিকেল ৫টা থেকে ২৭ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত রা্জযের সমস্ত দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অফিস ও কারখানা, কর্মশালা, গুদাম ইত্যাদি বন্ধ থাকবে।তালিকা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে মুদি দোকান, ওষুধের দোকান এবং টাটকা সবজি, মাছ ও মাংস বিক্কির বাজার।