কলকাতার নজরুল মঞ্চে চূড়ান্ত অব্যবস্থার মধ্যে সংগীত পরিবেশনের পর গায়ক কেকে-র হঠাৎ মৃত্যুতে কাঠগড়ায় আয়োজক তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ। অনেকেরই অভিযোগ, অব্যবস্থার মধ্যে নিজের ১০০ শতাংশ দিতে গিয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন কেকে। আর তারই মধ্যে উঠে এসেছে গোষ্ঠীকোন্দলের তত্ত্ব। কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের দাবি, বিচিত্রানুষ্ঠান আয়োজনের প্রক্রিয়ায় ডাকাই হয়নি তাঁকে। এমনকী মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানেও হাজির ছিলেন না তিনি। গোটা অনুষ্ঠান দখল করে রেখেছিলেন কলেজের TMCP-র ইউনিট প্রেসিডেন্ট পঙ্কজ দাস।বুধবার সংবাদমাধ্যমকে রাজেশ বলেন, ‘এই অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রক্রিয়ায় আমাকে যুক্তই করা হয়নি। আমি কোনও বৈঠকে ডাক পাইনি। তার পরেও এত জনপ্রিয় শিল্পীকে নিয়ে বন্ধ মঞ্চে অনুষ্ঠান করতে আমি বারণ করেছিলাম। কিন্তু আমার কথায় কেউ কান দেয়নি।’তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানেও আমাকে ডাকা হয়নি। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতেই অনুষ্ঠান হয়েছে। অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন TMCP-র ইউনিট প্রেসিডেন্ট পঙ্কজ দাস।’এই নিয়ে পঙ্কজবাবু কোনও জবাব দেননি। তবে তিনি বলেন, এসি ঠিক মতো কাজ করছিল না এই অভিযোগ ঠিক নয়। এসিতে সমস্যা থাকলে দর্শদের মধ্যেও কেউ অসুস্থ হতে পারতেন। তা হয়নি।