রাস্তায় গাড়ি ধরে নানা ধরনের চেকিংয়ের নজির রয়েছে। তবে সেই সঙ্গেই পুলিশ গাড়ি ধরে ঘুষ খায়, নানারকমভাবে ভয় দেখায়, এমনকী নানা ধরনের হয়রানি করে বলে অভিযোগ। এবার তেমনই হয়রানির মুখে পড়েছিলেন এক আইনজীবী। তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু ওই আইনজীবী এনিয়ে আপত্তি জানান। এভাবে কারোর লাইসেন্স কাড়া যায় না বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। আর তখন ওই পুলিশ সার্জেন্ট দাবি করেছিলেন তিনি আইন ভালোই জানেন। কারণ তিনি এক বিচারপতির কাছে ডিউটি করেছিলেন।
এরপর ওই সার্জেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই আইনজীবী। এরপর কী হল? সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ওই সার্জেন্টকে ২ এপ্রিল আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা?
আসলে ২৬ মার্চ বিদ্যাসাগর সেতুর উপর ট্রাফিক আইন না মানার অভিযোগে কলকাতা পুলিশের এক ট্রাফিক সার্জেন্ট ওই আইনজীবীর গাড়ি আটকান। ওই পুলিশকর্মী আইনজীবীর কাছ থেকে হাজার টাকা চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই টাকা দিতে না চাওয়ায় আইনজীবীর ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়ে নেন ওই সার্জেন্ট। এমনই অভিযোগ। এমনকী তা বাতিল করে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বলে আইনজীবীর দাবি।
তবে এবার প্রশ্ন উঠছে ওই আইনজীবী বার বার বলেছিলেন এভাবে কারোর লাইসেন্স নেওয়া যায় না। তারপরেও কেন তাঁর লাইসেন্স নেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এদিকে আইনজীবীর দাবি, ট্রাফিক আইন ভাঙলেও কারোর লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া যায় না। এনিয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই সার্জেন্ট এই পদক্ষেপ নেন।