রবিবার জামাইষষ্ঠী। জামাইদের ছুটি। ফলে শ্বশুরবাড়িতে রসনাতৃপ্তি হবে এটা দস্তুর। কিন্তু শনিবারই টের পাওয়া গেল অগ্নিমূল্য বাজারের। শ্বশুরমশাইরা বাজার করতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। কারণ সবজি থেকে মাছ–মাংস আকাশছোঁয়া দাম বেড়েছে। সঙ্গে ফলের দামও বেড়েছে একলাফে অনেকটা। এই অবস্থায় বাজারে গিয়ে পকেটে টান পড়ছে শ্বশুরমশাইদের।
কেমন দেখা যাচ্ছে বাজারদর? জামাইষষ্ঠী মানেই ভুরিভোজ এবং পাতে রকমারি পদ। জামাইষষ্ঠীর আগের দিন মাছ থেকে ফল–মিষ্টি, সবেতেই দামের ছ্যাঁকা লাগছে। চড়া দাম মাছের। গড়িয়াহাট বাজারে ২ কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায়। আর এক–দেড় কেজি ইলিশের দাম দেড় হাজার টাকা। ৮০০ থেকে দেড় হাজারের মধ্যে বাগদা চিংড়ির দাম। গলদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ছোট ভেটকি সাড়ে ৪০০, বড় ভেটকি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাবদা–পার্শের দর ৬০০ টাকার উপরে।
আর ফলের বাজারদর কেমন? মাছের মতোই ফলের বাজারও ছ্যাঁকা লাগার জোগাড়। হিমসাগর আম ১০০, ল্যাংড়া আর গোলাপখাস বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। লিচু বিকোচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। গোটা কাঁঠালের দাম ১৫০ টাকা। কাটা মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। সবজির দাম বেড়েই ছিল। সেটা আরও বেড়েছে। ৬০ টাকার নীচে কোনও সবজি মিলছে না। লঙ্কা এবং টমেটো বিক্রি হচ্ছে অন্তত ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।