প্রায় ১৮০ বছর ধরে কলকাতা পুলিশের পোশাকের রং সাদা হয়ে আসছে। ১৮৪৫ সালে কলকাতা পুলিশের পোশাকের রং সাদা করা হয়। এর বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। কলকাতা উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় এখানে চড়া রোদ এবং আদ্রতা বেশি থাকে। সেই কারণে কলকাতা পুলিশের পোশাকের রং সাদা করা হয়েছিল।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
সম্প্রতি শিক্ষা দফতরের অনুমোদন ছাড়াই একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তা নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে চলছে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত। সেই আবহে এবার রাজভবনের গেটের বাইরে খাঁকি পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল, বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রের রিপোর্টে বলা হয়েছে। এনিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সাধারণত সাদা পোশাকের কলকাতা পুলিশ রাজভবনের গেটের বাইরে পাহারা দিয়ে থাকে। কিন্তু, রাজ্যপাল এই সমস্ত পুলিশের পোশাকের রং নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি এডিসি মর্যাদার আধিকারিকদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাজভবনের বাইরে পুলিশের পোশাক খাঁকি হতে হবে। তবে এডিসিদের তরফে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় এটা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১৮০ বছর ধরে কলকাতা পুলিশের পোশাকের রং সাদা হয়ে আসছে। ১৮৪৫ সালে কলকাতা পুলিশের পোশাকের রং সাদা করা হয়। এর বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। কলকাতা উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় এখানে চড়া রোদ এবং আদ্রতা বেশি থাকে। সেই কারণে কলকাতা পুলিশের পোশাকের রং সাদা করা হয়েছিল। সেই থেকেই সাদা রয়েছে কলকাতা পুলিশের পোশাক। আবার রাজভবন কলকাতা পুলিশের অধীনে থাকায় সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে কলকাতা পুলিশ। এই অবস্থায় রাজভবনের গেটের বাইরে কর্তব্যরত পুলিশের খাঁকির রং সাদা করতে গেলে সে ক্ষেত্রে আইনে বদল আনতে হবে বলেই জানিয়েছেন উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, আইনে বদল ছাড়া পোশাকের রং পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
মূলত রাজভবনে দুজন এডিসি থাকেন। যার মধ্যে একজন কলকাতা পুলিশের আধিকারিক এবং অন্যজন সেনা জওয়ান হয়ে থাকেন। তাঁরা রাজ্যপালের রাজ ভবনে থাকার সময় নিরাপত্তা থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখেন। মূলত রাজভবনের নর্থ গেটের বাইরে প্রায় বিক্ষোভ হয়। তাই সেই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিরপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়ে থাকেন এডিসিরা।