1 মিনিটে পড়ুন Updated: 27 Nov 2024, 07:36 PM ISTAyan Das
বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী তথা বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণদাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হল কলকাতায়। সেখান থেকে হুংকার দেওয়া হল, 'চিকিৎসার জন্য করাচি আর লাহোরে যান। এখানে আসবেন না।'
বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করার দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী তথা বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণদাসকে গ্রেফতারি এবং তাঁর জামিন খারিজ করে দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই-কমিশন অভিযান করেন শুভেন্দু-সহ বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তারপর ডেপুটি হাই কমিশনে যান শুভেন্দুরা। সেখান থেকে বেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু বলেন, ‘(বাংলাদেশিরা) চিকিৎসার জন্য করাচি আর লাহোরে যান। এখানে আসবেন না। পরিষ্কার বলে দিতে চাই আমরা।’
'ইউনুসের আত্মীয় এখানে আছেন…'
সেখানেই থামেননি শুভেন্দু। ইসকনের সন্ন্যাসীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসকে আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘ডক্টর ইউনুসের আত্মীয়রা আমাদের বর্ধমানে আছেন। নিশ্চিতভাবে তাঁর অনুমোদন ছিল।’
ইউনুসের সঙ্গে মমতার তুলনা শুভেন্দুর
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডক্টর ইউনুস যাদের উপরে এসব করছেন, তারা যা, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে যাদেরকে লালিত-পালিত করে রেখেছেন, তারা একই। আজ বিধানসভায় সংবিধান দিবসের দ্বিতীয় দিনে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বক্তব্য কেউ শুনে থাকেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে মমতা কোন শক্তিকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ চালাচ্ছেন।’
শুভেন্দু দাবি করেছেন, শুধু ডেপুটি হাই কমিশনে প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষান্ত থাকবেন না। সীমান্তে যাবেন। তিনি বলেছেন, 'এখান থেকে দাবি করছি যে ভিসা ১০০ শতাংশ বন্ধ করুন। প্রয়োজন হলে একদিন অপেক্ষা করে আমরা ভিসা দফতরেও যাবে এখানে। পুরোপরি ভিসা দেওয়া বন্ধ করুন। আমদানি এবং রফতানির অনুমোদন দেওয়া বন্ধ করুন। বাকিটা আমরা বর্ডারে করব সোমবার থেকে। বলে দিলাম। চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। হিন্দুদের উপরে আক্রমণ এবং মন্দির ভাঙা বন্ধ করতে হবে।'
তারইমধ্যে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের হাইকোর্টে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সেই আর্জি জানানো হয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশিস রায় চৌধুরীর বেঞ্চে।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন যে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আর্জি জানানো হয়েছে। ইসকনকে ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। সরকার উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ করবে। সেটার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে যে বৃহস্পতিবার বিষয়টি ফের শোনা হবে। কতটা অগ্রগতি হয়েছে, সেটা জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।