রেশনের সামগ্রী ওজনে কম মিলছে বলে অভিযোগ বহু নাগরিকের। তাই রেশনের চাল, ডাল–সহ নানা সামগ্রীর কারচুপি রুখতে চায় রাজ্য সরকার। তাই এবার আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে উদ্যোগী হয়েছে স্বয়ং খাদ্য দফতর। রেশন দোকানে এবার থেকে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্রের সঙ্গে ই–পাস মেশিন যুক্ত করার প্রকল্প চালু করতে চাইছে খাদ্য দফতর। তাহলেই দুধ কা দুধ অউর পানি কা পানি হয়ে যাবে বলে মনে করছেন খাদ্য দফতরের অফিসাররা। তাই অর্থ দফতরের কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। অর্থ দফতরের অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
ই–পাস যন্ত্রে কী লাভ হবে? এখন রেশন দোকানে ই–পাস যন্ত্রের সাহায্য অনলাইনে গ্রাহকদের খাদ্যশস্য দেওয়া হয়। গ্রাহকের আধার নম্বর যাচাই এবং রেশন কার্ড সোয়াইপ করা হয়। এই ই–পাস যন্ত্রের সঙ্গে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্র যুক্ত করলে রেশন গ্রাহক কত ওজনের খাদ্যশস্য পাচ্ছেন সেটা খাদ্য দফতর অনলাইনে জানতে পারবে। এখন দু’টি যন্ত্রের যোগসূত্র না থাকায় কারচুপি করার সুযোগ থাকছে। এই ব্যবস্থা করে ওজনের কারচুপি বন্ধ করতে চাইছে খাদ্য দফতর। কেন্দ্রীয় সরকারও গোটা দেশের জন্য এই প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
কী বলছে রেশন ডিলাররা? এই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি রয়েছে রেশন ডিলারদের সংগঠনের। নতুন ব্যবস্থায় আপত্তি তুলেছে রেশন ডিলারদের সংগঠন। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘এতে গ্রাহকদের হয়রানি আরও বাড়বে। এখনই আধার যাচাই প্রক্রিয়ার জটিলতার জন্য অনেক গ্রাহক খাদ্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ডিলারদের কমিশন পর্যাপ্ত বাড়িয়ে নতুন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।’