ফোনটা অনেকক্ষণ ধরে বাজছিল। কাজে থাকায় তুলতে দেরি হয়। কিন্তু ফোন তুলতেই ওপার থেকে বলা হয় আপনার নাম এটা তো? উত্তরে ব্যক্তি জানান হ্যাঁ। তারপরই বলা হয়, লালবাজার থেকে বলছি, একটি মধুচক্রে আপনার নাম জড়িয়েছে। নিজের সম্মান বাঁচাতে এবং গ্রেফতারি এড়াতে এই টাকাটা অনলাইনে পাঠান।পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির সন্দেহ হওয়ায় ফোন রেখেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে দেখা যায় কলকাতা পুলিশের পরিচয়ে ফোন করে আর্থিক প্রতারণার চেষ্টা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানা ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। এখানে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নাবালক রয়েছে। ঠিক কী অভিযোগ ব্যক্তির? ওই ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ, ফোনের অপর প্রান্ত থেকে নিজেকে কলকাতা পুলিশের আধিকারিক পরিচয় দেয় একজন। ভয় দেখিয়ে টাকা নিতে বলা হয়, একটি মধুচক্রে নাম জড়িয়েছে তাঁর। এখান থেকে নাম সরাতে এবং গ্রেফতারি এড়াতে টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে পুলিশ আইন অনুযায়ী কাজ করবে।এই ফোন পাওয়ার পরই কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ওই ব্যক্তি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রতারণা চক্রের ৫ জনকে। এই নতুন পথে এবার প্রতারণা করার ছক কষা হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।