বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয় ৫ জুন। বাংলাতেও সরকারি–বেসরকারি স্তরে নানা অনুষ্ঠান পালন করা হয়। পরিবেশ নিয়ে সচেতনতার বার্তা দেন পরিবেশমন্ত্রী। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু সরকারিভাবে যে মঞ্চে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্যাপন করা হল সেখানের কোথাও ছিল না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। এটা নজর এড়ায়নি পরিবেশমন্ত্রীর। তখন কেন মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ছবি ছিল না? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এমনকী তিনি এতটাই ক্ষুব্ধ হন যে, মঞ্চে দাঁড়িয়েই রাজ্য পরিবেশ দফতরের প্রধান সচিব রোশনী সেনের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করলেন তিনি। সোমবার, নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আয়োজিত পরিবেশ দিবস পালনের অনুষ্ঠানে এমন ঘটনাই ঘটেছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পরিবেশ নিয়ে অত্যন্ত সচেতন। গোটা শহর থেকে শুরু করে গ্রামবাংলায় গাছ–গাছালি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পার্ক থেকে ফোয়ারা সব গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি পরিবেশ দিবসে নেই মেনে নিতে পারেননি মন্ত্রী। তাই নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে পরিবেশমন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী এই সরকারের প্রধান। তা সত্ত্বেও মঞ্চে তাঁর কোনও ছবি নেই দেখে রীতিমতো বিস্মিত হতে হচ্ছে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পরিকল্পনা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন মন্ত্রী মানস। পরিবেশমন্ত্রীর এমন ক্ষোভ প্রকাশ হওয়ায় হতচকিত হয়ে পড়েন মঞ্চে উপস্থিত পর্ষদের কর্তারা।
ঠিক কী বলেছেন পরিবেশমন্ত্রী? মঞ্চে উঠেই তিনি ভাল করে দেখেন। তারপর চুপ করেই ছিলেন। কিন্তু বক্তব্য রাখতে গিয়েই সোচ্চার হন। এই পরিস্থিতি দেখে পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, এই অনুষ্ঠানের আয়োজক বা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে মঞ্চের উপরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বা বার্তা অবশ্যই রাখা উচিত ছিল। কিন্তু কেন তা করা হয়নি? এই বিষয়ে রোশনী সেনকে আমি রিপোর্ট জমা দিতে বলছি। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই দফতরের যাবতীয় কাজকর্ম হয়। তাই এখানে তাঁর কোনও ছবি না থাকায় আমি খুবই বিস্মিত।’