অতিমারি ঠেলে সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প। অতিমারি ঠেলে এসপ্ল্যানেড ছুঁতে চলেছে টিবিএম ‘উর্বী’। মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আর কয়েক দিনের মধ্যেই বিভীষিকার সেই দুর্গা পিতুরি লেন পেরিয়ে যাবে টানেল বোরিং মেশিন ‘উর্বী’। তারপরেই সে ছুঁয়ে ফেলবে বৌবাজার চত্বর। তবে এই যাত্রাপথ অতটা মসৃণ ছিল না। পদে পদে বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। আর তার মধ্যে সব চেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, কাজ করতে গিয়ে প্রকল্পের বহু কর্মী-আধিকারিকরা সংক্রমিত হয়ে পড়েছিলেন। ফলে, গত ৩ সপ্তাহ আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের সুড়ঙ্গ তৈরি করার দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার দফতর। কিন্তু তার সত্ত্বেও মেট্রো প্রকল্পের কাজ বন্ধ করা হয়নি। কর্মী-আধিকারিকদের পৃথকভাবে থাকার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি যাতায়াতের বাহন ও বিশ্রামের জায়গাগুলো ঘন্টায় ঘন্টায় জীবাণুমুক্ত করে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা হয়।অন্য দিকে, এই যাত্রাপথেই পড়ছে দুর্গা পিতুরি লেনের মতো অতি স্পর্শ কাতর এলাকা। কারণ, এই সমস্ত এলাকার অধিকাংশ বাড়ি শত বছরের পুরনো। যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সমস্ত বাড়িগুলি বাঁচানো ছিল অন্যতম লক্ষ্য। পাশাপাশি করোনা মহামারির মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের অন্যত্র আশ্রয় দেওয়ার কাজটাও অত সহজ ছিল না। আবার এটাও লক্ষ্য রাখতে হয়েছে যে, এই করোনাকালে কোনও কর্মী-আধিকারিক সংক্রমিত না হয় পড়েন। তবুও অনেক ক্ষেত্রেই সেটা সম্ভব হয়নি। বেশ কয়েকজন কর্মী-আধিকারিক সংক্রমিত হয়ে পড়েন। তবে প্রকল্পের কাজ করা কর্মী-আধিকারিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জেরেই এই সাফল্য পেতে চলেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।