আর হাতে তিনদিন বাকি। তারপরই মহালয়া। অর্থাৎ পিতৃপক্ষের শেষ দেবীপক্ষের সূচনা। তার ঠিক একসপ্তাহ পর রাজ্যজুড়ে পালিত হবে দুর্গাপুজো। সুতরাং দুর্গাপুজোর শপিং নিয়ে এখন ব্যস্ত মানুষজন। তারপরই শুরু হবে প্যান্ডেল হপিং। এখন কেনাকাটা প্রায় শেষ লগ্নে। বরং পরিকল্পনা করা হচ্ছে দুর্গাপুজোর চারটি দিনের। কোন দিন কোন দিকে যাওয়া হবে এটাই এখন দুর্গাপুজোর ট্যুর প্ল্যান। সেরা বারোয়ারি দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলিতে তুলির টানের কাজ চলছে। দুর্গাপুজো প্ল্যানিং নিয়েই এখন ব্যস্ত বাঙালি। এই আবহে বাঙালির জন্য দারুণ সুযোগ নিয়ে এল রাজ্য পর্যটন দফতর। দুর্গাপুজোর ট্যুর প্যাকেজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সনাতনী’। এখানেই মিলবে সেরা দুর্গাপুজোগুলি দেখার সুযোগ। তাও সাধ্যের মধ্যেই খরচ করে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটতে চলেছে? অনেকেই আছেন যাঁরা পরিকল্পনা করেও সব দুর্গাপুজোর মণ্ডপ দেখতে পান না। তার উপর আছে যাতায়াতের সমস্যা। বাস, ট্রাম এবং মেট্রো করে ঘুরে সব পুজো দেখা সম্ভবও নয়। তাই পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম দফতর নিয়ে এসেছে দুর্গাপুজোর ট্যুর প্ল্যানিং। পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর দিনগুলিতে শহরের সেরা বাড়ির দুর্গাপুজোগুলি ঘুরে দেখার সুযোগ নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া দুর্গাপুজোর এই বিশেষ দিনগুলিতে প্রত্যেকদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলবে এই বিশেষ দুর্গাপুজো পরিক্রমা। বাড়ির পুজো পাশাপাশি দেখতে পাবেন সেরা দুর্গাপুজোও।
আরও পড়ুন: অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক বাংলার রাজ্যপালের, উদ্যোগ নিতেই টুইট শুভেচ্ছা অভিষেকের
কেমন সেই ট্যুর প্ল্যান? পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম দফতর সূত্রে খবর, এই ট্যুর প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে খেলাট ঘোষবাড়ি থেকে শুরু করে শোভাবাজার রাজবাড়ি, ছাতুবাবু–লাটুবাবুর বাড়ি, চন্দ্রবাড়ি, রানি রাসমণি বাড়ি, ঠনঠনিয়া দত্তবাড়ি এবং জোড়াসাঁকো দাঁ বাড়ি। দর্শনার্থীরা এই ট্যুর প্যাকেজ বুক করলে এসি বাসে করে শহরের এই অন্যতম সেরা ‘বাড়ির পুজো’ ঘুরে দেখতে পাবেন। আবার রাস্তায় থাকা সেরা মণ্ডপ দেখতে পাবেন। বাসে মিলবে সকালের ব্রেকফাস্ট, দুপুরে শোভাবাজার রাজবাড়িতে ভোগ। এই ট্যুর প্যাকেজ নিতে গেলে দর্শনার্থীদের মাথাপিছু ১৯৯৯ টাকা দিতে হবে। সঙ্গে মিলবে দুর্দান্ত সুযোগ।