পর্যটকদের আনন্দ দিতে মন্দারমণি থেকে দিঘা যাওয়ার ‘মেরিন ড্রাইভ’ যাকে সৈকত সুন্দরী বলা হয় সেটা এখন মেরামত করার কাজ হয়েছে। ৭.৬ কিমির রাস্তার কাজ চলছে জোরকদমে। ওয়ার্ক অর্ডারও ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। এই রাস্তা নির্মাণ করার জন্য ‘হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’ এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বহুদিন ধরে দাবি তুলছিলেন।
Ad
দিঘা যাওয়ার নতুন বাইপাস পথ।
শীতের পরশ অনুভব করছেন বাংলার মানুষ। হালকা হিমেল হাওয়া, শিরশিরে ভাব এবং সকাল ও সন্ধ্যেবেলায় পারদ পতন। এগুলি দেখে স্পষ্ট বুঝতে পারছেন মানুষজন এবার দুয়ারে শীত। তাই বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে। উৎসবের মরশুম কাটিয়ে এখন একটু দূরে যেতে চাইছেন সকলে। নিদেন পক্ষে দিঘা হলেও চলবে। আর আটদিন পর ডিসেম্বর মাস পড়বে। ওই মাসেই ‘বড়দিন’ পড়ছে। সেটা কাটালেই নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর সময়। এই সন্ধিক্ষণে স্কুল–কলেজও ছুটি থাকবে। তখন ঘুরে আসা যেতে পারে দিঘা। কারণ এবার দিঘা যেভাবে সাজানো হয়েছে তা না দেখলে অপূর্ণ থেকে যাবে ভ্রমণ মন।
দিঘায় গড়ে উঠেছে পুরীর আদলে জগন্নাথদেবের মন্দির। যা উদ্বোধন হবে নতুন বছরে। তার সঙ্গে বাড়তি কিছু প্রাপ্তি হবে। এমনিতেই ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর–সহ সৈকত জুড়ে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। গত কয়েক বছরের ট্রেন্ড তাই বলছে। এই সব সৈকতে এখন থেকেই বিশেষ নজর দিচ্ছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ এবং জেলা প্রশাসন। তার সঙ্গে রাজ্য সরকার ৮২ কিমি নতুন বাইপাস তৈরি করেছে। যাতে সময় কম লাগবে দিঘায় পৌঁছতে। আর দিঘায় পৌঁছলে মিলবে আরও অনেক সুযোগ সুবিধা।
ইতিমধ্যেই নন্দকুমার থেকে বাজকুল ২৫ কিমি নতুন রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। নিশ্চিন্দা থেকে চাউলখোলা ৪১ থেকে ৬৫ কিলোমিটার রাস্তাও গড়ে তোলা হয়েছে। দুটি রাস্তার কাজ শুধু বাকি আছে। বাজকুল থেকে নিশ্চিন্দা পর্যন্ত রাস্তা এবং চাউলখোলা থেকে দিঘা যাওয়ার রাস্তা। তবে দ্রুতই এই দুটি পথও গড়ে তোলার কাজ শেষ হবে বলে সূত্রের খবর। রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতর এই রাস্তা তৈরি করেছে। যার জন্য ১২০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। সুতরাং দিঘা যাতায়াতের ক্ষেত্রে মৃসণ সফর হবে। আর ওখানে গিয়েও মিলবে এমনই বিশেষ সুবিধা।