ফের সামনে এল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির দাবিতে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু, সেই কর্মসূচির শুরুর আগেই নিজেদের মধ্যেই মারপিট, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। যার ফলে শেষমেশ কর্মসূচি ভেস্তে গেল। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিধাননগরের করুণাময়ী মোড়ে বিজেপির দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি কলেজে TMCP-র গোষ্ঠী সংঘর্ষ, ৪ নেতাকে শোকজ, ভাঙা হল ইউনিট কমিটি
দাবি করা হয়েছে, কর্মসূচি শুরুর আগেই আচমকা বিবাদ বাঁধে দুই পক্ষের মধ্যে। কথা কাটাকাটি থেকে ধাক্কাধাক্কি, এরপর হাতাহাতি শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে। অভিযোগ, হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় স্থানীয় বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতাকে। এছাড়াও, মারধর করা হয় বিজেপি যুব মোর্চার এক মহিলা নেত্রীকেও। বেশ কয়েকজন আহত হন বলে দাবি স্থানীয় নেতৃত্বের। পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করেন অন্য নেতারা। শেষমেশ কর্মসূচি বাতিল করতে হয়।
বিজেপি সূত্রের খবর, অনুব্রতর গ্রেফতারির দাবিতে বিধাননগরের চারটি মণ্ডলের সভাপতি-সহ কার্যকর্তাদের জমায়েত হয়েছিল করুণাময়ী সংলগ্ন জায়গায়। সেই সময় বিজেপি নেতা পীযুষ কেনরিয়ার নেতৃত্বে আরও এক দল বিজেপি কর্মী-সমর্থক সেখানে আসলে বিজেপির চারটি মণ্ডলের কার্যকর্তাদের সঙ্গে তাঁরা বচসায় জড়িয়ে পড়ে। চারটি মন্ডলের কার্যকর্তারা পীযূষ এবং তাঁর অনুগামীদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার বিরোধিতা করেন। তাঁদের দাবি, পীযূষকে আগেই সাসপেন্ড করেছে দল। প্রথমে তর্ক-বিতর্ক পরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপির দুই পক্ষ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়।
বিধাননগরের যুব মোর্চার মণ্ডল ২-এর সভাপতি প্রশান্ত দেবনাথের অভিযোগ, বিজেপি নেতা পীযূষ কানোরিয়া কোনও পদে না থেকেও কর্মসূচি দখল করার চেষ্টা করেন। তাঁর দাবি, পীযূষের নেতৃত্বেই গোলমাল বাঁধে। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বলে জানান প্রশান্ত। ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, পীযূষ কানোরিয়া সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, তাঁর উপস্থিতি কিছু মানুষের সহ্য হয়নি। তাই পরিকল্পিতভাবে এই বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হয়েছে। এবিষয়ে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। তবে তৃণমূলের মতো বিজেপি গরু, কয়লা বা লুটের ভাগ নিয়ে মারপিট করে না।