দিন-দিন বেড়েই চলেছে সাইবার অপরাধ। সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে প্রতারণার জাল বিস্তার করে চলেছে সাইবার প্রতারকদের একাধিক চক্র। এই চক্র নির্মূল করতে নিয়মিত পদক্ষেপ করছে পুলিশ এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা। তারপরেও বেড়ে চলেছে সাইবার প্রতারণার ঘটনা। এবার এমনই একটি সাইবার জালিয়াতি চক্রের হদিশ পেয়ে শিলিগুড়ি থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
আরও পড়ুন: ফোন চুরির খেসারত, পাঁচদিনেই গায়েব সারা জীবনের সঞ্চয়, অ্যাকাউন্টে পড়ে ১৫০ টাকা!
সূত্রের খবর, ধৃত যুবকের নাম সনুকুমার ঠাকুর। তাঁর বাড়ি শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকার গঙ্গানগর কলোনিতে। অভিযোগ, অনলাইন প্রতারণার মাধ্যমে কয়েকশো কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা করেছেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। অভিযুক্ত সনুকুমার ঠাকুরের বাড়িতেও চলে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর বাড়ি থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, মোবাইল ফোন এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার তাঁকে জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে ২৪ ঘণ্টার ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসে ইডি।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই প্রতারণা মামলায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৯ জনের নাম উঠে এসেছে। ইডি-র তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্তরা অনলাইন প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করতেন। এরপর সেই টাকা ভাড়া করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাঁদের কাছে যেত। এইসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের কমিশন দিয়ে কাজে লাগানো হতো বলে জানতে পেরেছে ইডি।
জানা গিয়েছে, ধৃতকে রাত ১১টা নাগাদ জলপাইগুড়ির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পেশ করা হয়। ট্রানজিট রিমান্ড পাওয়ার পরেই সেখান থেকে কড়া নিরাপত্তায় কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ইডি-র দল। এই চক্রের সঙ্গে আরও কে বা কারা জড়িত, কীভাবে এত বড় আর্থিক জাল বিস্তার করল, কাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে? তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা। ধৃতকে জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে ইডি।