১৮ বছর ধরে আরসিবির জার্সিতেই খেলে আসছেন বিরাট কোহলি। অন্য কেউ এত বছর ধরে এক জার্সিতে খেলে আসেননি। বিরাটকে প্রায় সব দলই চেয়েছিল নিজেদের দলে নেওয়ার জন্য, কিন্তু কোহলি কোনওদিনই কোনও দলের হয়ে খেলায় সাড়া দেননি। তিনি বেঙ্গালুরুর দলটির প্রতি এতটাই কমিটেড ছিলেন। বিরাট যদি চাইতেন, আগেই দল পাল্টে অন্য কোনও দলে যেতে পারতেন, যারা অতীতে আইপিএল জিতেছে বা অন্যান্যবারও আইপিএলে প্লে অফে যাওয়ার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে। কিন্তু কোহলি বেছে নিয়েছিলেন চ্যালেঞ্জটাকেই অর্থাৎ আরসিবির হয়েই খেলে আরসিবিকে চ্যাম্পিয়ন করার চ্যালেঞ্জকে। আর কিং কোহলি নিজের সেই চ্যালেঞ্জে জিতেছেন। অবশেষে কর্ণটাকরে রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ট্রফি ঢুকেছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই বেঙ্গালুরুর রাস্তায় আনন্দে মাতোয়ারা ক্রিকেটভক্তরা।
২০০৮ সাল থেকে যে তিন দল খেলা শুরু করেছিল, এর মধ্যে তিনটি দল এবছরের আগে পর্যন্ত ট্রফি জিততে পারেনি। তাঁরা হল দিল্লি ক্যাপিটালস, পঞ্জাব কিংস এবং আরসিবি। বরাবরই বিরাটকে টেনে সমালোচকরা খোঁচা দিতেন। যে বিরাট কোহলি নিজে যেহেতু জন্মগত পঞ্জাবি, কিন্তু বড় হয়েছেন দিল্লিতে, আর আইপিএল খেলেন বেঙ্গালুরুর হয়ে, তাই নাকি তিনটি দলই আইপিএলে কোনওদিন কাপ জিততে পারেনি। সমালোচকদের সেই কথা পুরো ফুল স্টপ করে দিয়েছেন বিরাট। সঙ্গে এবার দিলেন পাল্টা জবাবও।
RCB-র প্রথম ট্রফি জয়ের পর বিরাট কোহলি বলছিলেন, ‘ভগবানই সবার ওপরে। আমি এই জয়ের পর উচ্ছসিত। আমি এবার একটু শান্তিতে ঘুমোতে চাই। আমি এতদিন ধরে অনেক চাপ নিয়েছে। অনেকরকমের কথা আমায় শুনতে হয়েছে। আরসিবি এটা, আরসিবি ওটা। অনেকে অনেক রকমের মজা উডিয়েছে, ট্রোলিং কররেছে। কিন্তু আমি একটা কথা বলতে পারি, এই সমালোচনা গুলোই আমাদের দল হিসেবে নিজেদের মধ্যে ঐক্যতা বাড়াতে সাহায্য করেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিকে আরও শক্তিশালী করেছে। আমাদের দলের ভক্তদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। তাই আজ রাতে আমি শুধুই শান্তিপূর্ণভাবে ঘুমোতে যেতে চাই ’।
প্রসঙ্গত বিরাট কোহলি আইপিএলের ট্রফি জিতছেন সেটা বুঝতে পেরেই প্রায় কেঁদে ফেলেছিলেন। কারণ অতীতে তিনি একাধিকবার অরেঞ্জ ক্যাপ জিতলেও দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। এবারে তিনি হয়ত অরেঞ্জ ক্যাপ জিতলেন না, তবে দলের হয়ে প্রায় ৬৫০ রান তিনি এবারে করেছেন। আর ফাইনাল ম্যাচেও তাঁর করা ৪৩ রানের গুরুত্বও রয়েছে অপরিসিম।