মুকুটে কী পালক জোটেনি? ভূয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড ঘটানোর থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক প্রতারণা, চাকরি প্রতারণা, টেন্ডার প্রতারণা, ভূয়ো আইপিএস সেজে দিনের পর দিন প্রভাব খাটানো। ভূয়ো দফতর খুলে জাঁকিয়ে বসা। পুলিশের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নিত্যনতুন প্রতারণার কথা ফাঁস হচ্ছে। প্রতারণার জাল বোনা এই ধরনের ধুরন্ধরই নাকি মানসিক রোগী! আদালতে এমনই তত্ব খাঁড়া করলেন ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের আইনজীবী। মঙ্গলবার ধৃত দেবাঞ্জনকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে, সরকারি আইনজীবীর আবেদনের ভিত্তিতে আরও সাতদিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন দেবাঞ্জন। কারণ তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তাই অবিলম্বে দেবাঞ্জনকে কোনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখানোর জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’আইনজীবীর দাবি, এসব মানসিক সমস্যার জন্য করছেন দেবাঞ্জন। এদিন আদালতে আচমকাই দেবাঞ্জনের মানসিক সমস্যার কথা জানান তিনি। দেবাঞ্জনের আইনজীবী জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে দেবাঞ্জনকে সিঁথির এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই চিকিৎসক তিনি আনোয়ার শাহ রোডের একটি রিসার্চ সেন্টারে দেবাঞ্জনকে কাউন্সেলিং করতে বলেন। কিন্তু টাকার অভাবে তা হয়ে উঠেনি। আইনজীবীর আরও দাবি, দেবাঞ্জন এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন বলে এই মুহূর্ত তার মানসিক রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও নথি দেওয়া যাচ্ছে না। দেবাঞ্জেন মানসিক দিক খতিয়ে দেখতে আদালতের কাছে আবেদন জানান আইনজীবী।যদিও সরকারি আইনজীবী তাঁর এই দাবি নাকচ করে দেন। উল্টে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে আদালতের কাছে একাধিক ধারায় মামলা রজু করার আবেদন জানান সরকারি কৌসুঁলি। এদিন তিনি বলেন, ‘ দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি ধারা যুক্ত করার আবেদন জানাচ্ছি।প্রথমটা পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন।’ এছাড়াও তিনি শুধু মাস্ক ও স্যানিটাইজার নিয়ে প্রতারণা করেননি। যেখানে পেরেছেন আর্থিক তছরুপ করেছেন। কোথাও টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া, কোথাও চাকরি পাইয়ে দেওয়া তো কোথাও ডিভোর্স করিয়ে দেওয়ার আছিলায় টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে। মামলার শুনানি শেষে সরকারি আইনজীবীর আবেদনের ভিত্তিতে দেবাঞ্জনকে আরও সাতদিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।