থ্রেট কালচারের অভিযোগে কল্যাণী জেএমএম মেডিক্যাল কলেজের ৪১ জন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করেছিল কর্তৃপক্ষ। এবার সেই সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, এর আগে আরজি কর, উত্তরবঙ্গ এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারে অভিযুক্তদের সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আর এবার কল্যাণীর জেএমএম মেডিক্যাল কলেজ। থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ৪১ ডাক্তারি পড়ুয়াকে ক্লাস করার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে তারা কলেজে ঢুকতে পারলেও হস্টেলে থাকতে পারবেন না। একইসঙ্গে, ৪১ পড়ুয়া হাউস স্টাফ হিসেবে ডিউটি করতে পারবে বলে অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ফের থ্রেট কালচার মেডিক্য়াল কলেজে? ব়্যাগিংয়ে মৃত্যু ডাক্তারি পড়ুয়ার
এই মামলায় সাসপেনশন হওয়া পড়ুয়াদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। কারণ শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সংসদে যোগ দিতে দিল্লিতে রয়েছেন কল্যাণ। তবে দেখা যায় সেই কাজ মিটিয়ে বিকেলে ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন আইনজীবী। শুনানি শেষে বিচারপতি সাসপেনশনের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন। আগামী ৮ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল ৪১ জন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁদের সকলকে সাসপেন্ড করেন কর্তৃপক্ষ। তাদের হস্টেল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি ক্লাস করার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এমনকী কলেজ ক্যাম্পাস থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল। ন্যূনতম ৬ মাসের জন্য তাদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে জানানো হয়েছিল শুধুমাত্র পরীক্ষা দিতে ও তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশে করতে পারবে। তারপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পড়ুয়ারা।
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পরেই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে থ্রেট কালচার নিয়ে সরব হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারা সেই সময় যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তাতে থ্রেট কালচার বন্ধেরও দাবি ছিল।দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সাসপেনশন হওয়া পড়ুয়াদের হয়ে মামলা লড়ছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, বেছে বেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে এটাই থ্রেট কালচার।