কালিয়াগঞ্জে রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মণকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল বর্মণ পরিবার। আজ, মঙ্গলবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের ভাই মৃণালকান্তি বর্মণ। আর সেখানে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা দায়েরের আর্জি জানানো হয়েছে। এমনকী মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তারপরই মামলা দায়ের অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামীকাল, বুধবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকা ছাত্রীর দেহ উদ্ধারকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছিলেন স্থানীয় মানুষজন। কারণ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। তাতেই স্মারকলিপি লিখে থানায় জমা দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানেই ক্ষোভ চরমে ওঠে। থানায় অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশকে মারধরের ঘটনা ঘটে। তারপর রাতে সীমান্তবর্তী রাধিকাপুর গ্রামে পুলিশের অভিযান চলে। বিষ্ণু বলে এক যুবককে খুঁজতে এসেছিল পুলিশ। তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাবাকে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেন মৃত্যুঞ্জয়। তখন তাঁকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে তেতে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। এমন পরিস্থিতিতে আইসি–কে বদলি করা হয়। এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডি’র হাতে তুলে দেন। দু’দিন পর সেখানে গিয়ে আরও সক্রিয় হবেন সিআইডি অফিসাররা বলে সূত্রের খবর। যদিও সিআইডি দায়িত্ব পেয়েই কাজে নেমে পড়েছে। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছেন সিআইডি অফিসাররা। প্রশ্ন এখন কালিয়াগঞ্জে একটাই—পুলিশের গুলিতে কি মৃত্যু হয়েছে? নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ।
তারপর ঠিক কী ঘটল? সিআইডি তদন্তভার হাতে নিতেই মৃতের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় হয়ে ওঠেন। ওই পুলিশ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন কালিয়াগঞ্জ থানার এএসআই মোয়াজ্জেম হোসেন। যাঁর বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করেন দাদা মৃণালকান্তি বর্মণ। সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ করলেও তাতে ভরসা রাখতে পারছেন না বর্মণ পরিবার। এই পরিবারের দাবি, সিবিআই তদন্তেই ভাইয়ের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উঠে আসবে। তাই এই দাবি নিয়ে তিনি আজ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার মামলার অনুমতি দেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup