রাজ্যে এখনও ক্ষমতার স্বাদ পায়নি দল। তবে রামনবমীতে রাজ্যজুড়ে বিপুল সাড়া দেখে উত্তেজনায় ফুটছেন বিজেপির ছোট থেকে বড় নেতারা। আর সেই উত্তেজনার ফল দেখা গেল কলকাতা লাগোয়া সরশুনায়। সেখানে রামনবমীর রাতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিতে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে সরশুনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে।রবিবার রাত সরশুনায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি দেবব্রত সরকারকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির দলীয় কর্মীদের একাংশের দিকে। দেবব্রতবাবুর জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে ফুলে যায় চোখ মুখ।ওদিকে অভিযুক্ত দেবব্রত রায়ের দাবি, নিজেদের উদ্যোগে রামনবমীর মিছিলের আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। সেজন্য তাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ করে নানা রকম কুৎসা করে বেড়াচ্ছিলেন মণ্ডল সভাপতি। তিনি কেন এই কাজ করছেন তা জানতে চেয়ে দেবব্রতবাবুকে ফোন করেন ওই যুবক। এর পরই দলবল নিয়ে এসে তাঁদের মারধর করেন মণ্ডল সভাপতি।যদিও মণ্ডল সভাপতির দাবি, ১৭ - ১৮ জন মিলে তাঁকে মারধর করেছে। যারা মারধর করেছে তারা দল থেকে সাসপেন্ডেড। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাদের আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এব্যাপারে পরস্পরের বিরুদ্ধে সরশুনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে দুপক্ষ।কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ক্ষমতায় আসার আগেই যে দলের কর্মীরা গোষ্ঠীসংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে ক্ষমতার স্বাদ পেলে তারা কী করবে? তবে কি বিজেপির হাত ধরেও রাজনৈতিক হিংসার বৃত্ত থেকে বেরোতে পারবে না বাংলা?