ধর্মতলায় এই সভা করার জন্য অনুমতি চেয়ে গত ১৮ অক্টোবর অনলাইনে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনারের কাছে আবেদন করেছিলেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সেই আবেদনে সভার তারিখ ছিল ২৮ নভেম্বর। কিন্তু সেই আবেদন ১৯ অক্টোবরই খারিজ হয়। তারিখ বদলে মেল করা হলেও কম্পিউটারের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে খারিজ করে দেওয়া হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়—অমিত শাহ।
হাতে আর কয়েকদিন। তারপরেই বিজেপির মেগা সমাবেশ আছে কলকাতায়। আগামী ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় সভার আয়োজন করছে বঙ্গ–বিজেপি। এখানে আসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কিন্তু আইনি জট এখনও কাটেনি। সভার জন্য পুলিশের অনুমতি মেলেনি। তা নিয়ে মামলা হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ পুলিশকে সভার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তারপরও জট কাটল না। এবার একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দুয়ারে গেল রাজ্য সরকার।
আজ, বুধবার ধর্মতলায় বিজেপির এই সভায় আপত্তি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের উচ্চতর বেঞ্চে আবেদন জানাল সরকার পক্ষ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, রাজ্য সরকারকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। দ্রুত এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা আছে বলে খবর। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা একদিন আগেই বলেছিলেন, ‘স্বাধীন দেশে যে কেউ যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। কারণ না জানিয়ে সভার অনুমতি বাতিল করার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ জাগছে। পুলিশকে সভার অনুমতি দিতে হবে।’ এবার বিচারপতি মান্থার সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে আজ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হল রাজ্য।
এদিকে গত সোমবার এই মামলার শুনানির চলাকালীন বিচারপতি পুলিশের উদ্দেশে বলেছিলেন, দু’সপ্তাহ আগে আবেদন করার পরও সিস্টেম জেনারেটেড মেসেজ পাঠিয়ে আবেদন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। কেন এমন মেসেজ গেল? যে পদ্ধতিতে আবেদন বাতিল হয়েছে সেটা সঠিক নয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চের সেই নির্দেশের পর অক্সিজেন পেয়েছিলেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। কিন্তু তারই মধ্যে আবার আপত্তি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। তাতে রায় বেরোনোর আগে পর্যন্ত সেই হাসি ম্লান হয়েছে বলেই খবর।
অন্যদিকে ধর্মতলায় এই সভা করার জন্য অনুমতি চেয়ে গত ১৮ অক্টোবর অনলাইনে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনারের কাছে আবেদন করেছিলেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সেই আবেদনে সভার তারিখ ছিল ২৮ নভেম্বর। কিন্তু সেই আবেদন ১৯ অক্টোবরই খারিজ হয়। তারপর তারিখ বদলে মেল করা হলেও তাতে কম্পিউটারের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে খারিজ করে দেওয়া হয়। আবেদনকারীকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট দিন সভার জন্য ফাঁকা নেই। তারপর চলে মামলা। একক বেঞ্চ পক্ষে রায় দিলেই ডিভিশন বেঞ্চ তা দেবে কিনা সেটা লাখ টাকার প্রশ্ন।