তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে থানায় নিখোঁজ ডায়ারি করল বিজেপি! একই ডায়ারি করা হয়েছে জোড়াসাঁকোর বিধায়ক, তুলনায় বয়সে তরুণ, তৃণমূল নেতা বিবেক গুপ্তার নামেও!
কিন্তু, কেন এই পদক্ষেপ? সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা তথ্য অনুসারে বড়বাজারের ঋতুরাজ হোটেলে অগ্নিকাণ্ড এবং তার জেরে একের পর এক মানুষের মৃত্যু - এই প্রেক্ষিতেই এই জোড়া নিখোঁজ ডায়ারি করা হয়েছে।
বিজেপির বক্তব্য, ঋতুরাজ হোটেলের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্যের সরকার বা শহর কলকাতার পুলিশ ও প্রশাসন তাদের দায় এড়াতে পারে না। কিন্তু, এত বড় একটি অঘটন ঘটে যাওয়ার পরও স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং এলাকার বিধায়ক বিবেক গুপ্তার দেখা পাওয়া যায়নি। দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির এহেন আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি।
গতকাল (২ মে, ২০২৫) এই গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপির তরফে একটি মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিল শুরু হয় দলের রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেন থেকে এবং শেষ হয় স্থানীয় জোড়াসাঁকো থানার সামনে। মিছিল আটকাতে থানার সামনে ব্যারিকেড করা হয়। বিজেপি নেতাকর্মীরা সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। ফলত, দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারের এই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন - বিজেপির উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার নেতারা। মিছিলে অংশ নেন জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ, বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায়, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ প্রমুখ। তাঁরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে না পেরে সকলে মিলে থানার সামনে বসে পড়েন এবং বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিবেক গুপ্তার এলাকায় অনুপস্থিতি নিয়েও। তাঁদের তরফে দুই 'নিরুদ্দেশ' হয়ে যাওয়া জনপ্রতিনিধির নামে থানায় নিখোঁজ ডায়ারি বা মিসিং ডায়ারি করা হয়।
প্রসঙ্গত, বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের পর দিঘা থেকে কলকাতায় ফিরেই ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন - ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, শশী পাঁজারা। কিন্তু, সেখানেও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বা বিবেক গুপ্তাকে দেখা যায়নি।