দিঘাতে তৈরি হয়েছে জগন্নাথ মন্দির। আর সেই মন্দিরকে ঘিরে একের পর এক পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার। তার মধ্যে অন্য়তম হল সেই জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ বিলি করা হবে রাজ্যের সাধারণ মানুষের মধ্যে। আর সেটা বিলি করা হবে রেশন দোকানের মাধ্যমে।
তবে এবার সেই প্রসাদ বিলি নিয়ে বড় পরিকল্পনা নিচ্ছেন রাজ্যের রেশন ডিলাররা। বিলি করা হবে প্যাঁড়া আর গজা। কিন্তু সেটা কীভাবে মহাপ্রসাদ হবে? আসলে দিঘার জগন্নাথদেবকে নিবেদন করা খোয়া ক্ষীর মিশিয়ে দেওয়া হবে এই প্যাঁড়া আর গজার সঙ্গে। তার মাধ্যমেই সেই মিষ্টি হয়ে যাবে মহাপ্রসাদ।
এই প্রসাদই রাজ্যের বিভিন্ন বাড়িতে একেবারে বিনামূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর সেটা হবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় থাকা রেশন ডিলারদের মাধ্যমে। আগামী ১৭ জুন থেকে এই মহাপ্রসাদ বিলির কথা রয়েছে। তার আগে সব দিক গুছিয়ে রাখা হচ্ছে।
তবে এই মহাপ্রসাদ বিলি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিকল্পনা নিচ্ছেন রেশন ডিলাররা। এই মহাপ্রসাদ বিলি নিয়ে রেশন ডিলাররা সরকারের কাছ থেকে কোনও ভর্তুকি মূল্য নেবেন না। এমনকী বিনামূল্যে তাঁরা এই প্রসাদ বিলি করবেন বলেও প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা নিয়েছেন।
মূলত রেশন ডিলাররা ঠিক করছেন সপ্তাহের সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালানো হয় পাড়ায় পাড়ায়। তার মাধ্যমে মহাপ্রসাদ বিলি করা হবে। শনি ও রবিবার রেশন দোকান থেকেই এই প্রসাদ বিলি করা যেতে পারে।
সেই সঙ্গেই সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি না নেওয়া সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেশন ডিলাররা। যে পরিকল্পনার মাধ্যমে এই প্রসাদ বিলি করা হবে সেটা অনেকটাই এইরকম। স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে কোন দোকান থেকে প্যাঁড়া ও গজা বানানো হবে। সেই মতো সেই দোকানে দিঘার মন্দির থেকে ঠাকুরের কাছে নিবেদন করা খোয়া ক্ষীর আসবে। সেই খোয়া ক্ষীর মেশানো হবে গজা ও প্যাঁড়ার সঙ্গে। এরপর মিষ্টির দোকানে সেই গজা ও প্যাঁড়া খোয়া ক্ষীর সহযোগে তৈরি হবে। সেটাই হবে মহাপ্রসাদ। এরপর রেশন ডিলাররা সেই প্যাকেট মিষ্টির দোকান থেকে আনা ও বিলি করার দায়িত্বে থাকবেন। এক্ষেত্রে প্রতি প্যাকেটে ১ টাকা করে ভর্তুকি হিসাবে ডিলারদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ১১ কোটি গ্রাহক থাকলে ডিলারদের ১১ কোটি টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু সেই ভর্তুকি মূল্য ডিলাররা না নিতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।