ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে এখন উত্তেজনা চরমে উঠেছে। শুধু শোনা যাচ্ছে গোলাগুলি আর মিসাইলের শব্দ। এই আবহে বাংলাজুড়ে বাড়ছে পুলিশের নজরদারি। পুলিশের সর্বোচ্চস্তর থেকে এবার রাজ্যের সমস্ত থানা এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে। প্রায় ৭৫০টি থানার বেশিরভাগই সিসিটিভি নজরদারির আওতায় এসেছে। আর ওই ক্যামেরার ফিড এবার সরাসরি রাজ্যের সচিবালয় নবান্নের কন্ট্রোল রুমে সম্প্রচারিত হচ্ছে। আর রাজ্য পুলিশের ডিজি’র দফতরের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গেও ওই ক্যামেরাগুলির ফিডকে যুক্ত করা হয়েছে।
পহেলগাঁও হামলার জবাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ দেখেছে পাকিস্তান। একদম নির্দিষ্ট লক্ষ্যে হানা দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলি। একের পর এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। যার সংখ্যা বহু। তারপর ভারতের উপর পাল্টা আক্রমণ করতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে গিয়েছে পাক সেনারা। আজ, শনিবার পাকিস্তানের তিনটি বিমান ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত বলে সূত্রের খবর। এই আবহে এবার রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তারা আইনশৃঙ্খলার উপরও নজরদারি চালাবেন। ভবানীভবন সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশ, জেলা পুলিশ এবং রেল পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত ৩৮টি পুলিশ জেলার বেশিরভাগ থানা এলাকা এখন নজরদারির আওতায়। ভবানীভবনের কন্ট্রোল রুমে যুক্ত হচ্ছে থানা এলাকার সিসিটিভি ফিড। যার ফলে সব তথ্য নবান্নের পাশাপাশি ভবানীভবনও দেখতে পাবে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের কাছে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি, বাংলাদেশের প্রাক্তন গোয়েন্দা গ্রেফতার
সিআইডি সূত্রে খবর, প্রথমে কলকাতা, হাওড়া এবং বিধাননগর কমিশনারেটের বড় অংশের এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিকে নবান্নের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। তারপর ধীরে ধীরে বাকি থানাগুলিকেও সংযুক্ত করার কাজ চলছে। তবে কিছু গ্রামীণ এলাকা আছে যেখানে এখনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। ফলে সেখানে নজরদারি কঠিন হয়ে পড়ছে। অপরাধমূলক কার্যকলাপ হলে তদন্তকারীদের সেসব সমস্যার সমাধান করতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় সেটা অনেকটা দেখা গিয়েছিল।
তাই এবার পুলিশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেসব থানা এলাকা এখনও সিসিটিভির বাইরে রয়েছে সেগুলিকেও দ্রুত সিসিটিভি’র আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, শ্মশানঘাট অথবা স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলিতে ক্যামেরা না থাকায় অতীতেও বেশ কিছু অপরাধ অধরা থেকে গিয়েছে। এখন সেই ঘাটতি মেটাতে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে আরও কয়েক হাজার সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। যাতে শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাগুলিও নজরে থাকে। এখন যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে এটা আরও বেশি করে প্রয়োজনীয়।