মঙ্গলবার রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করতে পারেন শাহ। তখনই দিল্লি যাওয়ার তারিখ তাঁদের জানাবেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপিতে সাংগঠনিক পরিবর্তন কেমন হবে, নিয়ে দলের অন্দরেই চর্চা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের রিপোর্টও খতিয়ে দেখতে চাইছেন জেপি নড্ডা, অমিত শাহরা।
জেপি নড্ডা
বিজেপির বঙ্গ সংগঠনের অবস্থা কেমন? সেই রিপোর্ট হাতে এবার সরাসরি মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। একদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন, অন্যদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। এই দুই নির্বাচনের আগে বাংলার সংগঠন নিয়ে রিপোর্ট হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। আর তাতে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট হয়ে দলের বঙ্গ নেতৃত্বকে সরাসরি নয়াদিল্লিতে তলব করতে চলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্য পার্টির হালহকিকত খতিয়ে দেখে তাঁরা এতটাই ক্ষুব্ধ যে, বাংলায় সাংগঠনিক রদবদলের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারেন বিজেপির নয়াদিল্লির নেতারা।
কিছুদিন আগে বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ–বিজেপির জন্য ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। আবার যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে বেশ কয়েকজন বিজেপি সাংসদ এবার টিকিট পাবেন না। আবার আসন রদবদলও হতে পারে বলে সূ্ত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ–বিজেপি সাংসদদের একাংশ নিরাপদ এবং সুরক্ষিত আসনের খোঁজ করতে শুরু করেছেন। আর সেই খবর কানে এসেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের। সূত্রের খবর, আর তাই বাংলায় দলের সংগঠন ঠিক কী পরিস্থিতিতে রয়েছে সেটা সরাসরি বুঝে নিতে চাইছেন তাঁরা। তাই নয়াদিল্লিতে তলব।
এদিকে বাংলার নেতারা যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে সংগঠনের অবস্থা ভাল। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানতে চাইছে, বাংলায় দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি যদি ভালই হয়, তাহলে অযথা সুরক্ষিত আসনের খোঁজ চালানো হচ্ছে কেন? কয়েকদিন আগেই রাজ্যে ঘুরে গিয়েছেন বঙ্গ–বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁদের একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। সেখানে মোটেই ভাল পরিস্থিতির কথা উল্লেখ নেই বলেই সূত্রের খবর। বরং যা তুলে ধরা হয়েছে তাতেই অসন্তুষ্ট শীর্ষ নেতারা। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আজ, সোমবার বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনিই তারিখটি বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের বলে দিয়ে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।