ইন্টারভিউ নিয়ে প্রার্থীরা অভিযোগ করেছিলেন। তার জেরেই মামলা হয়। আজ, শুক্রবার সেই অভিযোগ মেনে নিলেন ইন্টারভিউয়াররা। কলকাতা হাইকোর্টে রুদ্ধদ্বার শুনানির সময় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার (টেট) অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট সঠিক পদ্ধতি মেনে করা হয়নি বলে স্বীকার করে নিলেন ইন্টারভিউয়াররা। এমনকী নথিতেও সই করলেন তাঁরা। এবার সেই নথি প্রকাশ করে দিলেন মামলাকারী প্রার্থীদের আইনজীবী। ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পর ২০১৬ সালে ৪২ হাজার ৫০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নিয়োগ নিয়েই বড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে দু’দিন আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৪০ জন ইন্টারভিউয়ারকে ডেকে পাঠান। বন্ধ ঘরে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন তিনি। সেদিন ৩০ জন এসেছিলেন। হাওড়া জেলার ১০ জন ইন্টারভিউয়ার আসেননি। পরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ৪২ হাজার ৫০০ জন নিয়োগের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনের নিয়োগের ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে। এবার ২৫ জন ইন্টারভিউয়ার স্বীকার করলেন, সঠিক পদ্ধতি মেনে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। একাধিক প্রার্থীর কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টই নেওয়া হয়নি। এমনকী নিজেদের বয়ানের নথিতে সইও করেছেন ইন্টারভিউয়াররা।
অন্যদিকে কয়েকজন ইন্টিরভিউয়ার আদালতে জানিয়েছেন, বোর্ডের পক্ষ থেকে অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের বিষয়ে পৃথক কোনও নির্দেশিকাই ছিল না। তাই অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে কত নম্বর ছিল সেটা তাঁরা জানতেন না। আজ, শুক্রবার ইন্টারভিউয়ারদের বয়ানের নথি প্রকাশ করে মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, ২৫ জন ইন্টারভিউয়ার স্বীকার করেছেন যে, সঠিক পদ্ধতি মেনে অ্যাপটিটিউড পরীক্ষা হয়নি। অনেক প্রার্থীর এমন কোনও পরীক্ষাই নেওয়া হয়নি।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, প্রত্যেক ইন্টারভিউয়ারকে এদিন আলাদা করে ডেকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ভয় না পেয়ে কথা বলতে বলেন বিচারপতি। সেখানেই একাংশ ইন্টারভিউয়ার বিচারপতিকে জানান, অ্যাপটিটিউড পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না তাঁরা। এবার তাঁদের বিচারপতিকে জানানো নথিই সামনে চলে এল। ফলে এখন তোলপাড় অবস্থা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup