কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় এখন কোন দলে রয়েছেন? এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজার অন্ত নেই রাজ্যে। এই আবহে মুকুল রায়ের বিধানসভার সদস্যপদ খারিজের মামলা চলছে। এহেন মুকুল রায়কে নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল বাংলা খবরের চ্যানেল জি ২৪ ঘণ্টায় সম্প্রচারিত সাক্ষাতকারে অভিষেক মুকুল প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি তাঁর মুখপাত্র নই।’ তবে তিনি মুকুলকে নিয়ে ইঙ্গিত দিতে ছাড়েননি।
উল্লেখ্য, অভিষেকের উপস্থিতিতেই তৃণমূল ভবনে মমতার হাত ধরে ‘ঘরে ফিরেছিলেন’ মুকুল রায় ও তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়। সেই ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করেই যেন অভিষেককে রবিবার বলতে শোনা যায়, ‘আপনিও জানেন (মুকুল রায় কোন দলে)। আপনারা সবাই চোখে দেখেছেন।’ যদিও এর আগে অভিষেক বলেন, ‘আমি মুকুল রায়ের মুখপাত্র নই। মুকুল রায়ের আইনজীবীর মুখপাত্র নই। ওনারা বলতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সারদা মামলার তদন্ত চলাকালীন ফুল বদল করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন মুকুল রায়। তৃণমূলের সংগঠনকে হাতের তালুর মতো চেনা মুকুল রঙ বদল করেই পুরোনো সতীর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পরপর তোপ দাগেন। মুকুল রায় বিজেপিতে যাওয়ার দুই বছর পর ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি ১৮টি আসন জেতে রাজ্যে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হন মুকুল। তবে বিধানসভা নির্বাচনের পরেই সুর কাটে। বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তার দলবদলের গুঞ্জন শুরু হয়। বিধানসভায় গিয়ে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিকা করতে দেখা গেলেও নিজের দল বিজেপি বিধায়কদের কাছে ঘেঁষতে দেখা যায়নি মুকুলকে। এরপর ছেলেকে নিয়ে ঘরে ফেরেন মুকুল। বিজেপি বিধায়ক হিসেবেই পিএসি-র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপরই বিজেপি তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সরব হয়। এরপর থেকে এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা ও আইনি জটিলতা জারি রয়েছে।