মূলত এই হোমে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেই তাদের শিক্ষাদানেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এই হোমে দুজন নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং একজন নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই হোমটি চালিয়ে থাকে।
দৃষ্টিহীনদের হোমে ধর্ষণ। প্রতীকী ছবি।
দৃষ্টিহীনদের হোমে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসতেই তৎপরতার সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতেই এই ঘটনায় হোমের মালিক, প্রিন্সিপাল এবং সেক্রেটারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেফ হোমের ভিতরে ওই দুই নাবালিকাকে ১০ বছর ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। হরিদেবপুরে অবস্থিত ওই হোমে মূলত দৃষ্টিহীনদেরকেই রাখা হত। কিন্তু, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই নাবালিকাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত এই হোমে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেই তাদের শিক্ষাদানেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এই হোমে দুজন নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং একজন নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই হোমটি চালিয়ে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। এরপর শিশু সুরক্ষা কমিশন পুলিশকে জানালে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে হোমের মালিক সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। এর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত আছে বলে মনে করছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় ধৃত প্রিন্সিপাল হলেন মহিলা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিষয়টি জানার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেননি, চুপ করে ছিলেন। অন্যদিকে, সেক্রেটারি নাম হল জীবেশ দত্ত। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।