চলতি মাসেই জোকার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ক্যালকাট-র বয়েজ হস্টেলে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। যা আইআইএম কলকাতার ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। ঘটনাটি নিয়ে ছাত্র, শিক্ষক মহলে অস্বস্তি রয়েছে। সম্প্রতি অভিযুক্ত নিম্ন আদালতে জামিন পেলেও বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নন অনেকেই। এই আবহে অভিযুক্ত, ওই ম্যানেজমেন্ট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া পরমানন্দ মহাবীর তোপ্পান্নাওয়ার ফের ক্লাসে ফিরছেন।
জানা গেছে, দ্বিতীয় বর্ষের এমবিএ পরীক্ষার্থী পরমানন্দ মহাবীর তোপ্পান্নাওয়ার (২৬) জামিনে পাওয়ার পরেই একাডেমিক প্রোগ্রামে যোগ দেওয়ার অনুমতি চেয়ে ইনস্টিটিউটের কাছে আবেদন করেছিলেন। এরপরেই একাডেমিক কাউন্সিল অভিজুক্ত ছাত্রকে ক্লাসে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেয়।কিন্তু তদন্তের কথা উল্লেখ করে তাকে ক্যাম্পাসের হোস্টেলে প্রবেশাধিকার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ মনে করছে, কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্ত দলের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে ওই ছাত্রকে ফেরা উচিত নয়।আইআইএম-সি’র এক আধিকারিক জানান, 'ওই ছাত্রকে লাইব্রেরির মতো একাডেমিক সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে, কিন্তু ক্যাম্পাসে থাকতে দেওয়া হবে। আইনি পরামর্শের ভিত্তিতে এবং ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা শৈবাল চট্টোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ডিন ও সিনিয়র কমীদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাউন্সিল।
আরও পড়ুন-'জুতো পেটা করব!' সচিবকে হুমকি বিধায়কের, বিহারে বাস্তবের 'পঞ্চায়েত'?
গত সপ্তাহেই জোকা আইআইএমের বয়েজ হস্টেলে এক তরুণীকে ধর্ষণে অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে আলিপুর আদালত। ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত শেষে ধৃতকে আদালতে পেশ করা হয়। সূত্রে খবর, নির্যাতিতা তরুণীর 'অসহযোগিতা' নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। সবদিক খতিয়ে দেখে দ্বিতীয় বর্ষের ম্যানেজমেন্টের ধৃত ছাত্রের জামিন মঞ্জুর করে আলিপুর আদালত।তরুণীর অভিযোগ ছিল, কাউন্সেলিং সেশনের নামে তাঁকে বয়েজ হস্টেলে ডাকেন অভিযুক্ত। সেখানে ঠান্ডা পানীয় ও পিৎজা জাতীয় কিছু খাবার দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছিলেন, সেই পানীয় খাওয়ার পরই অচৈতন্য হয়ে পড়েন। এরপর তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী জ্ঞান ফিরলে প্রতিরোধ করতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ তাঁর।
আরও পড়ুন-'জুতো পেটা করব!' সচিবকে হুমকি বিধায়কের, বিহারে বাস্তবের 'পঞ্চায়েত'?
গত ১২ জুলাই নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল আইআইএম জোকার দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াকে। গঠন করা হয় বিশেষ তদন্তকারী (সিট) দলও। সিট সূত্রের খবর, তদন্তে কোনও গাফিলতি রাখা হচ্ছে না। জোগাড় হয়েছে ডিজিটাল প্রমাণ, ঘটনাস্থলের ফরেন্সিক নমুনাও সংগ্রহ হয়েছে।