বৃহস্পতিবার রাজ্যে ‘পথশ্রী অভিযান’ প্রকল্পের উদ্বোধন করার পর জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ির অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ও কেন্দ্রের শাসক বিজেপি–কে এক হাতে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালেই উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে দলিত যুবতীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা নিয়ে টুইট করে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন খোলা মঞ্চে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার ও পুলিশকে নিন্দা জানিয়ে তোপ দাগলেন তিনি।এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সীতা মাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছিল। আর আজ দেখুন উত্তরপ্রদেশে শুধু ধর্ষণ নয়, ধর্ষণের পর আগুনে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়েও দেওয়া হল। যদি কোনও অপরাধ হয় পুলিশের উচিত দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া। আমরাও করেছি। আমাদের রাজ্যে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধী ধরা পড়েছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণের পর ওই যুবতীকে পুলিশ পুড়িয়ে দিয়েছে। কোনও তদন্তও হচ্ছে না। এ কী ধরনের অপশাসন চলছে সেখানে। ওখানকার এক নেতা তো বলেছে যে মা–মেয়ে দু’জনকেই পুড়িয়ে দাও।’মমতা এদিন বিজেপি–র নাম না করে কটাক্ষ করে বলেন, ‘দেখুন দলিতদের ওপর কী পরিমাণ অত্যাচার হচ্ছে। আজ দলিত কাঁদছে। নির্বাচনের সময় লোক দেখিয়ে দলিতের বাড়িতে খাবার ওরা খায়। কিন্তু সেই খাবার বাইরে থেকে কিনিয়ে নিয়ে আসে। আর তার পর দলিতদের ওপর ওরা অত্যাচার করে। মারধর করে। কখনও সংখ্যালঘুর ওপর অত্যাচার হয়। আবার কখনও আদিবাসীদের ওপর অত্যাচার হয়।’২০১৯–এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ আসন দখল করে বিজেপি। এতে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পর উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের কতটা কাজ হয়েছে এ নিয়ে এদিন অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাজবংশীদের তথা উত্তরবঙ্গে এসে তো ওরা অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তার কিছু কি হয়েছে? বলেছিল সব বন্ধ চা বাগান খুলে দেবে। একটাও খুলেছে কি? তিন বছর হয়ে গেছে। সব মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। ওরা বলে কিছু আর করে অন্য কিছু। কিন্তু আমরা যা বলি তাই করি। যার কথার দাম নেই তাকে আমি মানুষ বলে মনে করি না। আমি মনে করি যাঁদের কথার দাম আছ, তাদেরই রাজনীতি করা উচিত।’