এর আগে একাধিকবার কলকাতায় সিবিআই অন্যতম পুরোনো অফিস নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছেন বীরভূমের নলহাটি-২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিভাস অধিকারী। আর আজ (মঙ্গলবার - ২৯ এপ্রিল, ২০২৫) তাঁকে দেখা গেল সিবিআই-এর নতুন কার্যালয়ে - কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নিউ টাউনের অফিসে।
সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য অনুসারে, এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ নিউ টাউনের সিবিআই কার্যালয়ে আসেন বিভাস অধিকারী। আর তারপরই জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কি 'মানিক ঘনিষ্ঠ' বিভাসকে ফের কোনও কারণে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই? কিন্তু, বিভাস নিজে তেমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। পালটা তাঁর দাবি, সিবিআই-এর কাছ থেকে তাঁর নিজেরই নাকি কিছু নথি সংগ্রহ করার দরকার হয়ে পড়েছিল। সেই কারণে তিনি নিজেই কলকাতায় সংস্থার নয়া দফতরে এসেছিলেন। সিবিআই মোটেও তাঁকে এবার তলব করেনি।
বিভাসের কথায়, 'সিবিআই (আমাকে) তলব করেনি। কিছু কাগজপত্র নেওয়ার আছে, তাই এসেছি।' কিন্তু তথ্যাভিজ্ঞ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই শেষবার যে চার্জশিট জমা করেছিল, তার সঙ্গে কিছু নথি ও তথ্যপ্রমাণও জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে এক এজেন্টের বয়ানও আছে বলে জানা গিয়েছে। এবং সেই এজেন্টের বয়ানে বিভাস সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য ছিল দাবি সূত্রের। তাই বিভাস মুখে যাই বলুন না কেন, এদিন তিনি সিবিআই দফতরে আসতেই তাঁকে ঘিরে নতুন করে নানা জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। একাংশের অনুমান, এমনটা হতেই পারে যে সংশ্লিষ্ট এজেন্টের বয়ানের ভিত্তিতে বিভাসকে ফের তলব করা হয়েছে। যদিও বিভাস নিজে মুখে তেমন কিছু স্বীকার করেননি।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার পরই এই গোটা ঘটনায় বিভাস অধিকারীকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়। দাবি করা হয়, তিনি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ। এমনকী, বীরভূমের নলহাটিতে বিভাসের যে বাড়ি ও আশ্রম রয়েছে, সেখানেও তল্লাশি চালায় সিবিআই।
উল্লেখ্য, বিভাস শুধুমাত্র তৃণমূলের সাংগঠনিক পদাধিকারীই ছিলেন না, তিনি বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতিও ছিলেন। অর্থাৎ, বীরভূম জেলার রাজনীতির নিরিখে তিনি যথেষ্ট প্রভাবশালী বলেই অনুমান করা হয়। তাছাড়া, তাঁর ওঠাবসাও ছিল একাধিক কেষ্টুবিষ্টুর সঙ্গে। তদন্তের স্বার্থেই ইতিপূর্বে তাঁকে বেশ কয়েকবার নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠায় সিবিআই।