এখন রাজ্যজুড়ে তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচি চলছে। প্রত্যেকটি জেলায় তা পালন করতে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেখানে ব্যালট পেপার নেওয়া থেকে নির্বাচন–পর্ব নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়। আর এবার সেই ‘অনিয়মে’র অভিযোগ কানে আসায় পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের প্রার্থী বাছাই নির্বাচন বাতিল করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ ওই নির্বাচন আবার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এমনকী মন্ত্রী তথা সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়াকে মাথায় রেখে একটি কমিটিও গড়ে দিয়েছেন অভিষেক।
এদিকে শালবনিতে গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যালোচনা বৈঠক হয়। সেখানেই কেশিয়াড়ির প্রার্থী নির্বাচন বাতিলের নির্দেশ দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আগে অন্যান্য জেলায় পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ে বেশ কয়েকবার ব্যালট পেপার কাড়াকাড়ি থেকে মারামারি,লুঠও হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু কেশিয়াড়িতে কোনও গোলমাল হয়নি। অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠায় প্রার্থী নির্বাচন বাতিল করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর কী জানা যাচ্ছে? তৃণমূল সূত্রে খবর, শালবনিতে প্রার্থী নির্বাচনে কেশিয়াড়ি ব্লকে বুথ সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি হিসেবে যাঁরা ভোটাধিকার পেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকে আবার দলের ব্লক সভাপতির অনুমোদিত নন। তাঁরা বিধায়কের অনুমোদিত। এটাই অনিয়ম। আর তা জানতে পেরে এই নির্বাচন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক আশিস চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কেশিয়াড়ির নির্বাচন বাতিল হয়েছে।’
কেন এমন কড়া সিদ্ধান্ত? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন কোনও অনিয়ম তিনি মানবেন না। এবার সেটাই তিনি করলেন। এই বিষয়ে কেশিয়াড়ির বিধায়ক পরেশ মুর্মু বলেন, ‘নির্বাচন বাতিল দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমরা নিজেরা সব মিটিয়ে নেব। দল যখন চাইবে তখন গণভোট হবে।’ এই ঘটনা নিয়ে জেলার রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে অভিষেক এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে এমন অনিয়ম হলে এমন কড়া পদক্ষেপও করা হবে সেটা বুঝিয়ে দিলেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup