এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজয়োৎসব পালন করা হবে। কিন্তু রাজ্যে ভোটে হিংসা এবং দলীয় কর্মীদের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত বদল করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন 'শ্রদ্ধা দিবস' পালন করবে তৃণমূল।
এদিন নবান্ন থেকে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২১ জুলাই আমরা উদযাপন করব না। আমাদের অনেক লোক ভোট-পরবর্তী হিংসায় মারা গিয়েছে। বিএসএফ অনেককে গুলি করেছে। তাই আমরা ওই দিনটাকে ‘শ্রদ্ধা দিবস’ হিসাবে পালন করব। শহিদ পরিবারের জন্য বেলা ১২ টায় সময় শহিদ দিবস পালন করা হবে। যে মানুষগুলো বিজেপির আমলে সিপিএমের আমলে মারা গেছেন সবার জন্য। ’
এ দিন তিনি বলেন,'ভোট হয়েছে ৭১ হাজার বুথে, আর গণ্ডোগোল হয়েছে ৭টি বুথে। কোনও মৃত্যুই কাম্য নয় যারা মারা গিয়েছেন তাদের জন্য আমি দুঃখিত। ১৯ জন মারা গিয়েছেন। এদের মধ্যে ১০জন আমাদের।'
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন রাজ্য কালিমালিপ্ত করার জন্য এত অশান্তি দেখানো হচ্ছে। তিনি বাম জমানার অশান্তির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘আমতার হাত কে কেটেছিল? আনন্দ মার্গীদের পুড়িয়ে মেরেছিল কারা? মরিচঝাঁপিতে যারা ছিল, তাণ্ডব করেছিল কারা? ডিসি পোর্ট মেহতাকে মেরেছিল কারা? এ সব ভুলে গেছি আমরা।’
তবে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি নবজাগরণ যাত্রার জন্য অশান্তি তুলনামূলক ভাবে কম হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ আরও বড় হত অশান্তি, নবজাগরণে শান্তির বার্তা না দেওয়া হত। যেটুকু ঘটেছে, আগামীদিনে চেষ্টা করব, যাতে এটুকুও না ঘটে। এখনও চেষ্টা চলছে। ওরা প্রথম থেকেই চাইছিল না ভোট হোক।’