পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজের মানুষ কাছে মানুষ খুঁজে নিতে অভিনব পন্থা নিল সিঙ্গুর তৃণমূল। প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোট নেওয়া হল কর্মীদের। ভোটের ফলের ভিত্তিতে দলের উপর বেছে নেবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিঙ্গুর বিধানসভার ৩১টি আসনের প্রার্থী। বিজেপি বলছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার ঘাসফুলে প্রার্থী বাছাই করতে এ ছাড়া আর উপায় ছিল না।সিঙ্গুর বিধানসভার মধ্যে ১৬টি পঞ্চায়েত এবং হরিপাল বিধানসভায় ১৫টি পঞ্চায়েত রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৩১টি পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছায়ের জন্য সম্প্রতি বৈঠকে বসেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। বৈঠকে ঠিক হয় ভোটের মাধ্যমে কর্মীরাই স্বচ্ছ ও কাজের মানুষকে বেছে নেবেন। ভোটের ফলের উপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের উপরমহল। ঠিক হয়, বুথ সদস্যরা ভোটের ব্যালটে ক্রমানুসারে ৩জন প্রার্থীর নাম লিখে সেই ব্যালট ভোটের বাক্সে জমা দেবেন। শনিবারই অনুষ্ঠিত হয় সেই ভোট পর্ব।প্রথম পর্বে সিঙ্গুরের ১৬টি পঞ্চায়েতের ২৭৮টি বুথে সব বুথ সদস্যরা তাঁদের পছন্দের তিন প্রার্থীর নাম ক্রমানুসারে লিখে ভোট বাক্সে জমা দেন। এই ভোটের ফল পাঠানো হবে দলের উপর মহলে। এর উপ ভিত্তি করেই তাঁরা সিদ্ধান্ত কোন এলাকায় কে প্রার্থী হবে। এই কর্মকাণ্ডকে ঘিরে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।বিজেপি একে গোষ্ঠী কোন্দল চাপা দেওয়ার পথ হিসাবে মনে করছে। এতে যে কোন্দল মিটবে না তা এমনটাই দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বে। বিজেপির যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি সৌমিত্র পাকিরা বলেন,‘এতে কোনও লাভ হবে না। ভোটের সময় দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থানে তৃণমূলের লোকেরাই ফের আমপাতা বটপাতা চিহ্ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে’তবে দলের কর্মীরা এই পদ্ধতিতে প্রার্থী বাছাইকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর কথায়,‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে নয়া সিস্টেমের জন্য আমরা সব জায়গাতেই ভালো প্রার্থী পাব। এর ফলে গোষ্ঠীকোন্দল অনেকটাই কমবে। যাঁরা দলের কথা না ভেবে নিজেদের সুবিধার জন্য দল করতেন তাঁরা এবার বেকায়দায় পডবেন।’