বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য্যয়ের স্বপ্নের প্রকল্প তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর। এখন রাজ্যে রয়েছে দুই বন্দর—কলকাতা এবং হলদিয়া। সেখানে তাজপুর বন্দর হলে কি সমস্যা দেখা দেবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে তাজপুর বন্দর গড়ে উঠলে কোনও প্রতিযোগিতা তৈরি হবে না। বরং কলকাতা–হলদিয়া বন্দর এবং তাজপুরে প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর পরস্পরের পরিপূরক হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্টের (এসএমপি) শীর্ষ কর্তারা। তাজপুর বন্দর চালু হলেও, কলকাতা–হলদিয়া বন্দরের অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে না। বরং বন্দরে পণ্য পরিবহণ আরও বাড়বে।
কেন এমন ভাবনা বন্দর কর্তাদের? কলকাতা–হলদিয়া বন্দরের গভীরতা কম হওয়ায় বড় জাহাজ ভিড়তে পারে না। হলদিয়ায় যেখানে জলের গভীরতা তুলনামূলক বেশি সেখানেই ২৫–৩০ হাজার টনের পণ্যবাহী জাহাজ আসতে পারে। তাই অখন বড় জাহাজ এলে গভীর জলের মধ্যে স্যান্ড হেড বা সাগরদ্বীপের কাছে পণ্য নামিয়ে ছোট জাহাজে করে হলদিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এসএমপি’র এক কর্তা জানান, তাজপুরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য নামিয়ে তা ছোট জাহাজে করে কলকাতা–হলদিয়া বন্দরে আনা হবে। তবে তাজপুরে রেল ও সড়ক যোগাযোগ পরিকাঠামো নতুন করে তৈরি করার পর তা কলকাতা–হলদিয়ার মতো সুবিধাজনক হবে না।
কেমন সহযোগিতা পাচ্ছে দুই বন্দর? রাজ্য সরকার তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দরের দায়িত্ব আদানি শিল্প গোষ্ঠীকে দিয়েছে। আদানি গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই হলদিয়া বন্দরে একটি বার্থের দায়িত্ব নিয়েছে। ওই বার্থটির আধুনিকীকরণ করে তারা চালাতে চাইছে। এমনকী আগামী দিনে কলকাতা বন্দরের খিদিরপুর ডক এবং নেতাজি সুভাষ ডকের আরও বার্থ বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। তখন আদানি গোষ্ঠী কলকাতা বন্দরে আসবে বলে আশা করছেন এসএমপি’র কর্তারা। হলদিয়া বন্দরেও আগামী দিনে আরও বার্থ বেসরকারি হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।