আলু আছে। চিকেন আছে। আর সঙ্গে আছে থালা ভর্তি বিরিয়ানি। সবটাই মিলছে ১০টাকায়। গল্পের মতো মনে হলেও এটাই সত্যি হয়েছে কাটোয়ায়। সব জিনিসের দাম যখন আকাশ ছোঁয়া তখন কীভাবে ১০টাকায় বিরিয়ানি মিলছে সেটাই ভেবে কূল পাচ্ছেন না অনেকেই। কিন্তু মাথা খাটিয়ে ১০ টাকা বিরিয়ানি দেওয়ার কথা ভেবে ফেলেছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার পানুহাটের বাসিন্দা শ্যামল দেবনাথ। বাড়িতে এনিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষাও চালিয়েছেন তিনি। তারপরে একেবারে স্কুলের গেটে ১০টাকায় চিকেন বিরিয়ানি বিক্রি শুরু করেন শ্যামল দেবনাথ। তবে শর্ত একটাই কেবলমাত্র ছাত্রছাত্রীরাই এই বিরিয়ানি ১০ টাকায় পাবে। বাকিদের জন্য দাম বরাদ্দ হয়েছে ২০ টাকা। আর ১০টাকায় বিরিয়ানি শুনে কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন অনেকে। কাটোয়ার পানুহাটের একটি স্কুলের সামনে এই বিরিয়ানি বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, ১০ টাকার বিরিয়ানির স্বাদ ভালোই।বিক্রেতা শ্যামল দেবনাথ বলেন, ১০০ টাকার বিরিয়ানিতে ৮০ টাকা লাভ করে। এরপর বাড়িতে পরীক্ষামূলকভাবে বিরিয়ানি বানালাম। এরপর আড়াই কিলো চালের বিরিয়ানি করে একদিন স্কুলের গেটে নিয়ে এসেছিলাম। দেখলাম ১০ মিনিটেই শেষ। এরপর থেকেই ১০টাকায় বিরিয়ানি বিক্রি শুরু করি। এখন সকলে বলছে কাকু বিরিয়ানি ছাড়া কিছু খাব না। গার্জেনরাও পরীক্ষা করে দেখতে পারেন বিরিয়ানিটা কতটা স্বাস্থ্যকর।এক ছাত্রী বলে, টেস্ট করে দেখলাম কেমন লাগছে। ৯০-১০০ টাকায় বিরিয়ানি কেনা সম্ভব নাকি? ১০ টাকার বিরিয়ানি দারুর খেতে।