কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য দেবাশিস বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হলেন পড়ুয়ারা। তাদের অভিযোগ, ভর্তির নামে অথবা ফর্ম ফিলাপের নামে পড়ুয়াদের কাছ থেকে মোটা টাকা নেওয়া হচ্ছে। অথচ সেই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের পিছনে খরচ না করে আইনজীবীর পিছনে খরচ করছেন উপাচার্য। এভাবেই লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে সোমবার কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান বিক্ষোভ বসল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। পাশাপাশি এদিন উপাচার্যের কার্যালয় ও রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছায় অবসর নিলেন কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জটিলতার অবসান
এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। সুব্রত মুখোপাধ্যায় নামে এক বিক্ষোভরত পড়ুয়ার অভিযোগ, ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি বাবদ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবছর অন্যায় ভাবে ছাত্র ছাত্রীদের সেমিষ্টার ফি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এমনকী পিএইচডির আবেদনের ক্ষেত্রেও আগে টাকা নেওয়া হতো না। এখন ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে ১০০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। অথচ সেই টাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিকাঠামো ও উন্নয়ন খাতে খরচ করছে না। তাহলে সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে? তার খোঁজ খবর নিতে গিয়েই জানা যায়, আসলে আদালতে মামলা চলছে। পড়ুয়াদের কাছ থেকে সেই টাকা নিয়ে মামলা লড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আইনজীবীদের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন বলে জানা গিয়েছে । পড়ুয়াদের দাবি, অবিলম্বে ভর্তি ফি এবং অন্যান্য ফি কমাতে হবে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অভিনয় মুখোপাধ্যায় জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও উপাচার্যরা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পড়ুয়াদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। তাদের এই আন্দোলন তাই পড়ুয়াদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রদর্শনের বিরুদ্ধে লড়াই। এই দাবিতে এদিন তারা উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন। ভর্তি ফি কমানোর পাশাপাশি পড়ুয়াদের দাবি, যে ৫০ লক্ষ টাকা নয়ছয় করা হয়েছে সেই টাকা অবিলম্বে ফেরাতে হবে। এরজন্য উপাচার্যকে ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। তবে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপচার্য ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে।