নাবালিকা খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের ফাঁসির সাজার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ডাকা শিলিগুড়ি বনধে মিশ্র প্রভাব পড়েছে। শহরের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও কিছু সরকারি বাস ও ছোট গাড়ি চলতে দেখা গিয়েছে। গত মঙ্গলবার শিলিগুড়ি লাগোয়া মাটিগাড়ায় একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর স্কুলের পোশাক পরা দেহ উদ্ধার করে পুুলিশ। ঘটনায় ওই রাতেই আব্বাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। এর পরই উত্তেজনা ছড়ায় মাটিগাড়া এলাকায়।ধৃতের ফাঁসির সাজার দাবিতে বুধবার শিলিগুড়িতে মিছিল ও পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। হিলকার্ট রোডে বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি এদিন মাল্লাগুড়ি মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিশ্বহিন্দু পরিষদের শাখা সংগঠন দুর্গা বাহিনী ও মাতৃশক্তি সম্মেলনের কর্মীরা। অবরোধ তুলতে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তরবঙ্গ প্রান্তের সম্পাদকসহ ১৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এর পরই সংগঠনটির তরফে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিলিগুড়ি শহরের প্রায় সমস্ত দোকানপাট ছিল বন্ধ। জংশন মার্কেট, হিলকার্ট রোড, তিনবাত্তি মোড়, কোর্ট মোড় ছিল শুনশান। রাস্তায় কয়েকটি সরকারি বাস চললেও তাতে যাত্রী দেখা যায়নি। কয়েকটি বেসরকারি ছোট গাড়ি ও টোটো চলতে দেখা গিয়েছে।ঘটনার পরদিন ধৃত আব্বাসের মাটিগাড়ার লেনিন পল্লির বাড়ি ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। এমনকী ধৃতের প্রতিবেশীদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার স্কুল থেকে ফেরার সময় মাটিগাড়ার মোটাজোত এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর স্কুলের পোশাক পরা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। অন্য এক পড়ুয়া রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নাবালিকার আর্তনাদ শুনতে পেয়ে বাড়ি গিয়ে খবর দেয়। স্থানীয়রা এসে দেখেন সেখানে পড়ে গিয়েছে নাবালিকার দেহ। ওই রাতেই অভিযুক্ত আব্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, নাবালিকাকে কোনও ভাবে ফুসলিয়ে ওই ঘরে নিয়ে গিয়েছিল আব্বাস। সেখানে নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। নাবালিকা বাধা দিলে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে সে।