শিলিগুড়ির ভোট মানেই রাজনৈতিক তরজা। আর সেই তরজার একপ্রান্তের মুখ যদি হন পোড়খাওয়া বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য, তবে অন্যপ্রান্তে অবশ্যই প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। এবারও শিলিগুড়িতে পুরভোটের বাজারে জমে উঠেছে তরজা। শুক্রবার প্রচারে বেরিয়ে অশোক ভট্টাচার্যকে নিশানা করে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন গৌতম দেব। তিনি বলেন, অশোক ভট্টাচার্যের জমানত বাজেয়াপ্ত হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, তৃণমূল ছাড়া কোনও রাজনৈতিক দলই সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। মানুষের মধ্যে স্বতস্ফূর্ত সাড়া রয়েছে। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধিদেরই মানুষ পুরবোর্ডে দেখতে চান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতার পর পছন্দের শহর বলতে শিলিগুড়ি। অন্তত ১০০ বার তিনি এখানে এসেছেন। আমরা ৫টা বছর সময় চাইছি।অন্যদিকে বিভিন্ন এলাকায় বামেরা প্রচার করছেন শিলিগুড়িতে যা উন্নয়ন সব বামবোর্ডই করেছে। এই প্রসঙ্গে গৌতম দেব বলেন, এইজন্য অশোক ভট্টাচার্যের জমানত বাজেয়াপ্ত হবে। অন্যদিকে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। আমি যখন মন্ত্রী ছিলাম বা মেয়র ছিলাম তখনই শিলিগুড়ির উন্নয়ন হয়েছে। সেটাই মানুষ চাইছেন। তৃণমূল বা বিজেপির বিধায়কের ভূমিকা কী? শিলিগুড়িকে ভালোবাসে বামফ্রন্ট। শিলিগুড়ির গলা টিপে ধরতে চাইছে তৃণমূল। শিলিগুড়ি নিয়ে ওদের কোনও পরিকল্পনা নেই। অশোক ভট্টাচার্যর পালটা দাবি, ২০১৫ সালের মতো এবারও আমরা কামব্যাক করব। ফের এখানে বামবোর্ড হবে।