খড়দার তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনার তদন্তে প্রকাশ্যে এল আরও বিস্ফোরক তথ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযুক্ত শ্বেতা খানের প্রোফাইলে তাঁর সঙ্গে একাধিক তৃণমূল নেতার ছবি দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের মিছিলে হাঁটতে দেখা গিয়েছে শ্বেতা খানকে। এমনকী শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে দেওয়াল লিখন করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে শ্বেতা খানের কাজকর্মের প্রতিবাদ করছিলেন তাঁরা। কিন্তু এব্যাপারে কেউ সরব হলেই পুলিশ ফোন করে কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিবাদীকে মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়ে দিতেন শ্বেতা। এলাকার অন্তত ২০ জন যুবকের বিরুদ্ধে এইরকম ভুয়ো কেস রয়েছে।সূত্র মারফৎ আরও জানা গিয়েছে, ঘনঘন ব্যাঙ্ককে যাতায়াত করতেন শ্বেতা খান। সেখানে গিয়ে বেশ কিছুদিন থাকতেন তিনি ও তাঁর ছেলে আরিয়ান। তবে শ্বেতা কেন বারবার ব্যাঙ্ককে যেতেন তা বলতে পারেননি স্থানীয়রা। তরুণীকে নিগ্রহের অভিযোগ দায়েরের পর শ্বেতা ও তাঁর ছেলে থাইল্যান্ড পালিয়ে যেতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে।স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রয়শই এলাকার একটি মাঠে রাতে গাড়ি পার্ক করে শ্বেতার ফ্ল্যাটে যেতেন প্রভাবশালীরা। তবে সেখানে স্থানীয়দের কোনও প্রবেশাধিকার ছিল না।শ্বেতা খানের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফাইল খুললে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের ছোট বড় অনেক নেতার সঙ্গে রয়েছে তাঁর ছবি। তৃণমূলের মিছিলে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। এমনকী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে দেওয়ার লিখতেও দেখা যাচ্ছে শ্বেতাকে।স্থানীয়দের দাবি, শ্বেতা খান পুলিশকে পকেটে ভরে রাখত। শ্বেতা খানের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও রয়েছে বলে দাবি তাদের। এলাকায় গণ্ডগোলের সময় একবার সেই আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলিও ছোড়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।