অনুব্রতর কুকথাকাণ্ডের প্রতিবাদে বোলপুরে ‘নারী সম্মান যাত্রা’য় অংশগ্রহণ করে ফের একবার কেষ্ট মণ্ডলকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সন্ধ্যা বোলপুর চৌমাথায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে। একই সঙ্গে বোলপুরের আইসির মা ও স্ত্রীকে উদ্দেশ করে কুকথা বলায় ক্ষমতায় এসে অনুব্রতকে ৫ বছরের জন্য জেলে ভরবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিন বোলপুরের ট্যুরিস্ট লজ মোড় থেকে চৌমাথা পর্যন্ত পদযাত্রা করেন শুভেন্দুবাবু। এর পর এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলকে SRDAর চেয়ারম্যান করে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতবার বীরভূমে এসেছেন অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় DGP ও SPকে বলেছেন, আপনারা অনুব্রতর নির্দেশে চলবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমার কেষ্টকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলাম। তিনি যাননি। কারণ দিল্লিতে তিনি যেতে চান না। দিল্লিতে গেলে এখানকার পাথর, বালি, জেলা পরিষদ, পুরসভা, ১০০ দিনের কাজ, আবাস কয়লা, গরুপাচার, টাকা তুলবেন কখন? আর বোলপুরের প্রাসাদে বসে গুনবেন কখন? আর মুড়ির টিনে করে মমতা ব্যানার্জির কালীঘাটে পাঠাবেন কখন? তাই তিনি রাজ্যসভায় যাননি।’
অনুব্রতকে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘অনুব্রত মণ্ডলকে যে ধারায় ইডি গ্রেফতার করেছে তাতে সর্বোচ্চ ৬ বছর জেল খাটতে হয়। অনুব্রত মণ্ডল ২ বছর জেল খেটেছে। দেশের আইন ঠিক থাকলে আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে। সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নিলাম শুরু হল বলে। এদেরকে আমরা শিকড়সহ তুলব। যাতে আর একটা পাতাও না গজায়।’
যে ভাষায় অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের মা ও আইসিকে অপমান করেছেন তা মুখে আনা যায় না, কানে শোনা যায় না। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি আজকে যোগী আদিত্যনাথ থাকত না, ধরে নিয়ে যেত। ১৪ দিন হেফাজতে রাখত। প্রত্যেকদিন শুকনো লঙ্কা জ্বালানো হত। আর নাকে ঢোকানো হত। যেদিন পাতা উলটে দেবেন, তার পরের দিনই এই মামলা রিওপেন হবে। মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাবে পুলিশ। পকসো আইনে ৫ বছর জেলে রাখব। রেকর্ড করে রাখুন। বোলপুরের আইসির চামড়া মোটা হতে পারে কিন্তু তাঁর মায়ের স্ত্রীর অপমান মানে গোটা বাংলার নারীদের অপমান।’