কুকথাকাণ্ডের পর দলের ভিতরে - বাইরে কোণঠাসা অনুব্রত মণ্ডল। আর তার জায়গায় বীরভূমে ক্রমশ ক্ষমতা বাড়ছে কাজল শেখের। অনুব্রতর কুকথার প্রতিবাদ করতে বোলপুরে গিয়ে সেই কাজল শেখকে এবার নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি দাবি করেন, অনুব্রতর দ্বারা কোণঠাসা হয়ে কোলাঘাটে গিয়ে শুভেন্দুবাবুর পা ধরে বসে থাকতেন কাজল শেখ।
শুভেন্দুবাবু এদিন বলেন, ‘আরেকটা গর্তে ঢুকে গেছিল। কাজল শেখ। মাল তুলছে। বীরভূম জেলা পরিষদে কোনও হিন্দু ঠিকাদার কাজ করতে পারে না। হিন্দু ঠিকাদার কাজ করতে গেলে তার কাছে ২০ শতাংশ কাটমানি চাওয়া হয়। এই টাকা সভাধিপতির ভাগ্না বাপ্পা শেখ, দিলীপ শেখ, কাদির জিলানি ও সুমন হোসেন তোলে। হিন্দু ঠিকাদারদের বাড়ি বাড়ি ভয় দেখিয়ে লেটার হেড সই করিয়ে টেন্ডার প্রত্যাহার করানো হয়। এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে হিন্দু জেলাপরিষদকে হিন্দুমুক্ত করা। বীরভূমের সমস্ত সরকারি বালিঘাট তেকে বাপ্পা শেখ ও দিলীপ শেখ টাকা তোলে। নলহাটির পাথর ক্রাশার থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০ লক্ষ টাকা করে কাজল শেখের কাছে পৌঁছয়।’
তিনি বলেন, এই কাজল আমার পা ধরে পড়ে থাকত। আমি কোলাঘাটে অফিস করি। কেষ্টর চাপে কাজল তখন আমার পা ধরে পড়ে থাকত।