কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের মতো ব্যস্ততম পথে শুটআউটের মতো ঘটনা ঘটেছে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আর এই শুটআউটের জেরে বন্ধুর সঙ্গে পার্কসাকাস আসার পথে গুলিবিদ্ধ হলেন এক যুবক। এই শুটআউটে মূল মাথা হিসাবে গ্রেফতার করা হল আহত যুবকের বন্ধুকে। খুনের লক্ষ্যেই কি গুলি চালানো হয়েছে? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। তবে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই গুলিবিদ্ধ যুবক। পুলিশ জোরদার তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে শিবদাসপুর থানার অন্তর্গত কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ঠিক পাশেই রয়েছে সোনু হোটেল। যার মালিক তন্ময় ঘোষ ওরফে সোনু। সোমবার মাঝরাতে বন্ধু শৈবালের সঙ্গে পার্কসার্কাস আসার পরিকল্পনা করেছিলেন তন্ময়। আর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী রাত ১২টা নাগাদ মোটরবাইকে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। মোটরবাইকে করে তাঁরা খানিকটা দূর যেতেই ছুটে এল গুলি। আর তার জেরে গুলিবিদ্ধ হলেন শৈবাল। তাঁর পায়ে গুলি লাগে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ যুবককে উদ্ধার করে ভর্তি করে হাসপাতালে। আর গ্রেফতার করা হয় তন্ময়কে। আজ, মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়।
আরও পড়ুন: মানস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ, নালিশ জানিয়ে বিধায়কদের চিঠি মমতাকে
অন্যদিকে বন্ধুর বন্দুক থেকে গুলি লেগেছে। সেক্ষেত্রে এখন পুলিশের কাছে আছে তন্ময়। হোটেল মালিক হওয়ায় তাঁর কাছে একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিভলবার আছে। সেটি ওই রাতে কেন নিয়ে বেরিয়ে ছিলেন তন্ময়? কাকে খতম করতে চেয়েছিলেন? লোডেড রিভলবার তখনই একজন সঙ্গে রাখে যখন গুলি চালানোর মোটিভ থাকে। সেই রিভলবার থেকে অসাবধানে গুলি ছুটে শৈবালের লেগেছে। এই তথ্য মানতে নারাজ পুলিশ। তাই গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন শৈবাল সুস্থ হয়ে তন্ময়ের পক্ষে বয়ান দিলে তবেই নিস্তার মিলতে পারে।