1 মিনিটে পড়ুন Updated: 12 Jun 2023, 10:49 PM ISTChiranjib Paul
রবিবারের ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুর। অন্য দিকে অশান্তির জন্য মন্ত্রীর দিকে নিশানা করলেন মমতাবালা।
শান্তনু ঠাকুর ও মমতাবালা ঠাকুর
রবিবার অভিষেকের ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি যাওয়াকে কেন্দ্র যে পারদ চড়েছিল তা নামার লক্ষণ নেই। ঘটনার জন্য পরস্পরের দিকে আঙুল তুললেন ঠাকুর বাড়ির দুই শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি মমতাবালা ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুর। রবিবারের ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুর। অন্য দিকে অশান্তির জন্য মন্ত্রীর দিকে নিশানা করলেন মমতাবালা। তাঁর দাবি,'ঠাকুর বাড়ি চত্বরে গাঁজা খাওয়া হয়েছে।'
মমতাবালার বলেন,'অভিষেক এসে ঠাকুরবাড়িতে পুজো করে চলে যাবেন সেটাই কথা ছিল। এতে রাজনীতির কিছু ছিল না। কিন্তু মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এমন আচারণ করলেন যে ভাবা যায় না। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে মন্দিরে ঢুকে মালা ছিঁড়ে ফেললেন। ভক্তরা সেখানে গিয়েছিল। দরজা আটকে শান্তনু ঠাকুরের সামনে দাঁড়িয়ে মেরেছে।'
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দাবি অশান্তি পাকিয়েছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। তিনি বলেন,'কালকের ঘটনার সিবিআই তদন্ত হোক। ঘটনার সময়কার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখাব। তাহলেই মূল বিষয়টি সামনে চলে আসবে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্রাত্য বসু, সুজিত বসুরা মন্দির চত্বরে যখন ঢুকেছেন, তখনই গুন্ডাবাহিনী নিয়ে এসে মন্দিরের পুরোহিত ও ভক্তদের উপর চড়াও হয়েছে।'
ইতিমধ্যে গাইঘাটা থানার পুলিশ ও স্থানীয় হাসপাতালের বিএমওএইচ মামলা দায়ের করছেন। এ নিয়ে শান্তনুর বক্তব্য, 'পুলিশ পিঠ বাঁচাতে যা খুশি করছে। গাইঘাটা থানার ওসি আমাকে লোক দিয়ে এনকাউন্টার করে দেবে বলছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদত ছাড়া এটা সম্ভব নয়। পুলিশ গা বাঁচাতে আমাদের বিরুদ্ধে কেস দিয়েছে। আমরাও এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাব। একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বাড়িতে পুলিশ এই ভাবে হেনস্থা করছে।'
এর জবাবে মমতাবালা বলেন, 'যে হরিগুরুচাঁদ জাতপাত ভেঙে দিয়ে মানবতা ধর্ম তৈরি করলেন, সেখানে দাঁড়িয়ে এমন কাণ্ড করল। মন্দিরে সকলের অধিকার রয়েছে। কারও পৈত্রিক ভিটে নয়। একে দেবোত্তর করে গিয়েছেন আমার শাশুড়ি। অথচ রবিবার ভাং-গাঁজা খেয়ে সেখানে যা তা করল।'