বেতন বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন আশাকর্মীরা। কয়েকদিন আগে আশাকর্মীদের বেতন ৭৫০ টাকা করে বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তা নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন আশাকর্মীরা। আর এবার বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চাইছেন। তাই রবিবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের দ্বারস্থ হলেন গাইঘাটার আশাকর্মীরা। তাঁর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দিতে চান আশাকর্মীরা। এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ আশা ও ICDS কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, আন্দোলনের জয় বলছে ইউনিয়ন
আশা কর্মীদের অভিযোগ, তারা ৩৬৫ দিন সমস্ত ধরনের পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের কাজকর্ম পুরোপুরি তাদের উপর নির্ভরশীল। শুধু তাই নয়, অন্যান্য ধরনের কাজ, ভোটের ডিউটি থেকে শুরু করে স্কুলে পরীক্ষার ডিউটিও তাদের করতে হচ্ছে। কিন্তু, এত পরিশ্রম করার পরে রাজ্য সরকার তাদের কথা ভাবছে না।
গত ৬ মার্চ সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, আশা কর্মীদের বেতন ৭৫০ টাকা করে বাড়ানো হল। তবে তাতে খুশি নন গাইঘাটার আশাকর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী ভাতা না বাড়ানোর আগে পর্যন্ত তাঁরা ভালো ছিলেন। তবে এই সামান্য পরিমাণ ভাতা বাড়িয়ে তাদের ছোট করা হয়েছে, অপমান করা হয়েছে। বাইরে বেরোলেই আপত্তিকর মন্তব্য শুনতে হচ্ছে। বর্তমান বাজারমূল্যে ৭৫০ টাকাতে কিছুই হয় না। সবমিলিয়ে তাঁদের মাসিক ভাতা ৫২৫০ টাকা। এতে কিছুই হয় না। তার ওপর তাঁরা দিনরাত পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, তাঁরা কিছুই পাচ্ছেন না। এদিন আশাকর্মীরা জানান, শান্তনু ঠাকুরের মধ্য দিয়ে তাঁরা তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে চাইছেন। তাঁরা চাইছেন যে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের জন্য কিছু করুক।